অনুমোদনের সাত বছর পার, চালু হল না আইটিআই কলেজ

অনুমোদনের পর প্রায় সাত বছর কেটে গিয়েছে। তারপরেও চালু হল ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকার জীবনতলার ঝোড়োর মোড়ের আইটিআই কলেজ।দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনের অন্যতম পিছিয়ে পড়া এলাকা ক্যানিং ২ ব্লক। এই এলাকার মানুষের প্রধান জীবন জীবিকা কৃষি নির্ভর।

Advertisement

সামসুল হুদা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৬ ০০:৫০
Share:

বন্ধ আইটিআই কলেজ। নিজস্ব চিত্র।

অনুমোদনের পর প্রায় সাত বছর কেটে গিয়েছে। তারপরেও চালু হল ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকার জীবনতলার ঝোড়োর মোড়ের আইটিআই কলেজ।

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনের অন্যতম পিছিয়ে পড়া এলাকা ক্যানিং ২ ব্লক। এই এলাকার মানুষের প্রধান জীবন জীবিকা কৃষি নির্ভর। এলাকায় একটি মাত্র ডিগ্রি কলেজ থাকলেও এলাকার ছেলেমেয়েদের শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য বাম আমলের শেষের দিকে জীবনতলার ঝোড়োর মোড়ে একটি আইটিআই কলেজ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। সেই মতো, ২০০৯ সালে কারিগরি শিক্ষা দফতর ওই এলাকায় একটি আইটিআই কলেজ তৈরির অনুমোদন দেয়।

প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে প্রায় তিন একর জমির উপরে ওই কলেজ তৈরির কাজ শুরু হয়। এ জন্য সে সময়ে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের অধীন সুন্দরবন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনকে ওই কলেজ তৈরির বরাত দেওয়া হয়। ২০১২ সালের মধ্যে কলেজ তৈরির কাজ শেষ করতে বলা হয়েছিল।

Advertisement

কলেজভবন তৈরির কাজ শেষ হলেও এখনও সেখানে কোনও আসবাবপত্র আসেনি। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, কলেজ ভবনের সব কাজ প্রায় শেষ হলেও প্রশাসনিক উদাসীনতায় এখনও কলেজ চালু করা গেল না। তাঁদের মতে, এই কলেজ চালু হলে এলাকার পরিবেশই বদলে যেত। কিন্তু এখনও পঠনপাঠন চালু না হওয়ায় সন্ধের পরে ওই ভবনে অসামাজিক কাজকর্ম চলছে। বসছে মদ-গাঁজা-জুয়ার আসর।

স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল মোল্লা, মনসুর গাজিরা বলেন, ‘‘এক বছর আগে কলেজ চালু হবে বলে ভর্তির ফর্ম ছাড়া হয়েছিল। কিন্তু কোথায় কী! ভর্তি নেওয়া তো দূরের কথা, এখনও পর্যন্ত কলেজ চালুই হল না। কবে কলেজ চালু হবে এবং ভর্তি শুরু হবে, তা নিয়ে প্রশাসন মহল থেকেও কোনও সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।’’

এ বিষয়ে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা বলেন, ‘‘এটা ঠিক যে সব কিছুর পরেও এখনও কলেজ চালু করা যায়নি। এই কলেজ চালু ব্যাপারে এলাকার মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। যাতে কলেজটি দ্রুত চালু করা যায়, তা নিয়ে আমি কারিগরি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি।’’

কী বলছেন মন্ত্রী?

কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী অসীমা পাত্র বলেন, ‘‘ওই কলেজ চালু করার বিষয়টি বিধায়ক আমাকে জানিয়েছেন। আমাদের ৭৮টি কলেজ তৈরি হয়ে আছে। একসঙ্গে শুরু করার কথা। আশা করছি দ্রুত কলেজগুলি চালু করা যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন