সরকারি সাহায্য পেতে টাকা লাগে না, পোস্টার ঝোলাল পঞ্চায়েত

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে মাথায় রেখেই সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে এই উদ্যোগ বলে জানান উপপ্রধান অরুণ নস্কর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৯ ০১:৩৪
Share:

পোস্টার: পঞ্চায়েতের দেওয়ালে। ছবি: সুমন সাহা

সরকারি পরিষেবা পেতে কোনও রকম অর্থ দিতে হবে না— এই মর্মে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়ে পোস্টার লাগাল দক্ষিণ বারাসত পঞ্চায়েত। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধানের তরফে পঞ্চায়েত দফতরে এই পোস্টার লাগানো হয়।

Advertisement

তৃণমূল সরকারের আমলে বিভিন্ন সরকারি দফতরে পরিষেবা পেতে গেলে সাধারণ মানুষকে অনৈতিক ভাবে টাকা দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘদিন ধরেই। অভিযোগ, কাজ হাসিল করতে গেলে টাকা দিতে হচ্ছে শাসকদলের নেতাদের। লোকসভা ভোটে আশানুরূপ ফল না হওয়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষের এই অভিযোগ নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সম্প্রতি প্রকাশ্যেই অনৈতিক ভাবে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সাধারণ মানুষ। নেতার বাড়ি, পঞ্চায়েত দফতরের সামনেও বিক্ষোভ হয়েছে কোথাও কোথাও।

এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ বারাসত পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগ তাৎপর্যপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে মাথায় রেখেই সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে এই উদ্যোগ বলে জানান উপপ্রধান অরুণ নস্কর। তাঁর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন স্বচ্ছ ভাবে প্রশাসন চলুক। আমরাও সেই চেষ্টাই করছি। কিন্তু কিছু অসাধু দালাল চক্র পার্টির নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলছে। আমারা চাই মানুষ যাতে প্রতারিত না হন।’’ দুর্নীতি রুখতে আরও নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানান উপপ্রধান। তাঁর কথায়, ‘‘সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত কোনও রকম দুর্নীতি বরদাস্ত করবে না। আমরা ইতিমধ্যে প্রতিটি সদস্যকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছি। মানুষকে সতর্ক করতে এলাকায় মাইকিংও করা হবে। এ ছাড়া পঞ্চায়েতে মানুষের অভিযোগ নেওয়ার জন্য একটি আলাদা বক্স রাখা থাকবে। কারও কোনও অভিযোগ থাকলে কাগজে লিখে সেই বক্সে ফেলে দিতে পারবেন। তাঁর পরিচয় গোপন রেখেই আমরা ব্যবস্থা নেব।

Advertisement

পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষও। স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম মুখোপাধ্যায়, দীপঙ্কর মান্নারা বলেন, ‘‘সরকারি পরিষেবা পেতে অনৈতিক ভাবে টাকা দেওয়া বন্ধ হওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দফতর যদি কড়া হয়, তা হলে সাধারণ মানুষ অনেকটাই স্বস্তি পাবেন। সে দিক থেকে পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে অনেকে। আশা করছি মানুষ ন্যায্য

পরিষেবাটা পাবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement