পুজো দিতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ অনিশা

বাসন্তী রঙের শাড়িতে সেজে সোমবার সকালে জেঠুর বাড়িতে অঞ্জলি দিতে গিয়েছিল সাড়ে তিন বছরের অনিশা চট্টোপাধ্যায়। সকলের চোখ এড়িয়ে প্রদীপের আগুন ধরে যায় শাড়িতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাবরা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:০৩
Share:

অনিশা চট্টোপাধ্যায়

গত বছর সরস্বতী পুজোতে হাতেখড়ি হয়েছিল মেয়ের। আর এ বছর ঘটল বিপত্তি।

Advertisement

বাসন্তী রঙের শাড়িতে সেজে সোমবার সকালে জেঠুর বাড়িতে অঞ্জলি দিতে গিয়েছিল সাড়ে তিন বছরের অনিশা চট্টোপাধ্যায়। সকলের চোখ এড়িয়ে প্রদীপের আগুন ধরে যায় শাড়িতে। মুখ, বুক ও হাতের একাংশ পুড়ে গিয়েছে। আরজিকরে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল।

অনিশাদের বাড়ি হাবরার চোংদা রবীন্দ্রপল্লি এলাকায়। বাড়ির লোকজন জানালেন, সরস্বতী পুজোয় পরবে বলে নাতনিকে সিন্থেটিক শাড়িটি উপহার দিয়েছিলেন দিদিমা কমলা মণ্ডল। সোমবার সকালে সেই শাড়িতেই সেজেগুজে বেরিয়েছিল অনিশা।

Advertisement

পুলিশ ও পরিবার সূত্রের খবর, জেঠুর বাড়ির উঠোনে ছোটাছুটি করছিল ছোট্ট মেয়েটি। বারান্দায় পুজোর জায়গায় প্রণাম করতে গিয়ে পাশে থাকে পিতলের প্রদীপ থেকে শাড়িতে আগুন ধরে যায়। ওই বাড়ির বাসিন্দা মনোরমা নন্দী বলেন, ‘‘আমরা সকলে কাছেই ছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে এসে জল ঢেলে আগুন নেভানো হয়। শাড়িটিও খুলে নেওয়া হয়।’’

অনিশাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকে চিকিৎসকেরা পাঠান আরজিকরে। ছোট্ট শরীরটার কুড়ি শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।

অনিশার বাবা খোকনবাবু গাড়ি চালান। মা পায়েল সংসার সামলান। অভাবের সংসারে অনিশাই একমাত্র একমাত্র সন্তান। পাড়ার সকলের প্রিয় মেয়েটার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটায় সরস্বতী পুজোর আনন্দ ফিকে। চোখের জল থামছে না পায়েলের। খোকনবাবু বলেন, ‘‘অঞ্জলি দিতে গিয়ে এমন ঘটতে পারে, ভাবতেই পারছি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন