চিকিৎসাধীন: জখম ব্যক্তি
বাম-তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল সন্দেশখালির দ্বারিকজঙ্গলের আদিবাসী পাড়ায়। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনায় এক মহিলা-সহ ছ’জন জখম হয়েছেন। তাঁদের খুলনা প্রাথমিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে আহত মহিলাকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, আহতদের মধ্যে রয়েছেন বাম নেতা সুভাষ সর্দার, কাঞ্চনা সর্দার, সঞ্জিত বিশ্বাস, বিমল সর্দার। অন্য দিকে, জখম হন স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য করুণা সর্দার ও তাঁর স্বামী রাজকুমার। উভয়পক্ষের তরফে থানায় অভিযোগ করা হলে পুলিশ তদন্ত নামে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেওয়াল লিখন এবং ভোট প্রচারকে কেন্দ্র করে সন্দেশখালি এলাকায় প্রায়ই রাজনৈতিক সংঘর্ষ ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ভোটের সময়ে সন্ত্রাসের আশঙ্কা দানা বেঁধেছে স্থানীয় মানুষের মনে।
এ দিন সন্দেশখালির দ্বারিকজঙ্গল এলাকায় বামপ্রার্থী পল্লব সেনগুপ্তের হয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন স্থানীয় বাম কর্মী-সমর্থক। তাঁদের অভিযোগ, প্রচার সেরে সন্ধ্যায় ফেরার পথে আদিবাসীপাড়ায় তৃণমূল-আশ্রিত কয়েকজন দুষ্কৃতী লাঠি ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁদের উপরে হামলা চালায়। মারামারি বেধে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে সন্দেশখালি পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ মল্লিক বলেন, ‘‘কয়েকজন বামকর্মী আদিবাসী পাড়ায় গিয়ে নিরীহ বাসিন্দাদের হুমকি দিচ্ছিলেন। জানতে পেরে স্থানীয় তৃণমূল সদস্য করুণা সর্দার ও তাঁর স্বামী প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁদের উপরে হামলা চালানো হয়।’’ স্থানীয় বাসিন্দা তথা সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার বলেন, ‘‘তৃণমূলের উপরে হামলার অভিযোগ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উল্টে ওরাই আমাদের নেতা-কর্মীদের মারধর করেছে।’’ — নিজস্ব চিত্র