প্রতীকী ছবি।
লোকসভা ভোটে যে পঞ্চায়েত এলাকা থেকে তৃণমূল লিড পাবে না, সেই পঞ্চায়েতের প্রধান ও অঞ্চল সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা সভাপতি শুভাশি, চক্রবর্তী। এর আগে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলরদের একই ভাবে হুঁশিয়ার করেছিলেন মেয়র ববি হাকিম।
সোমবার বিকেলে ক্যানিংয়ের বন্ধুমহলে দলের কর্মিসভায় যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলের সমর্থনে বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। শুভাশিস এবং প্রতিমা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল, ক্যানিং ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শৈবাল লাহিড়ি, ব্লক যুব সভাপতি পরেশরাম দাস প্রমুখ।
শুভাশিস বলেন, ‘‘দলের মধ্যে কোনও ভুল বোঝাবুঝি চলবে না। সকলকে এক সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। দলের সুদিনে আমাদের সঙ্গে অনেকেই এসেছেন। কিন্তু যাঁরা দলের দুর্দিনের সময়ে সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের কোনও ভাবেই ভোলা চলবে না। যাঁরা অভিমান করে দূরে সরে আছেন, তাঁদেরও ফেরাতে হবে।’’
এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, ‘‘ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্র থেকে আমাদের প্রার্থীকে ১ লক্ষ ভোটে লিড দিতে হবে। যে সব পঞ্চায়েত এলাকা থেকে লিড হবে না, সেই সব এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান ও অঞ্চল সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হবে।’’ এ দিন কর্মিসম্মেলনে ক্যানিং ১ ব্লকের বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো না হওয়ায় কর্মীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে ব্লক স্তরের নেতারা পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিয়ে এক সঙ্গে চলার শপথ নেন মঞ্চ থেকে।
এ দিন বাসন্তীর মোকামবেড়িয়া এলাকার শ’পাঁচেক বিজেপি কর্মী-সমর্থক তৃণমূলের কর্মিসম্মেলনে যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে এলাকার বিজেপির দুই পঞ্চায়েত সদস্যও আছেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন শুভাশিস।