সঙ্কটে শহর: ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া

নালা বুজে বন্ধ নিকাশি

গত বছর বর্ষায় রাজ্যের বিভিন্ন পুর এলাকায় মশাবাহিত রোগে অসুস্থ হয়েছিলেন অনেকে। মৃত্যুও হয়েছিল কয়েকজনের। এই বছরও যাতে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সে দিকে লক্ষ্য রেখে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া রোধে পুরসভাগুলিকে অভিযান শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন।

Advertisement

নির্মল বসু

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৫৪
Share:

গত বছর বর্ষায় রাজ্যের বিভিন্ন পুর এলাকায় মশাবাহিত রোগে অসুস্থ হয়েছিলেন অনেকে। মৃত্যুও হয়েছিল কয়েকজনের। এই বছরও যাতে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সে দিকে লক্ষ্য রেখে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া রোধে পুরসভাগুলিকে অভিযান শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন।

Advertisement

কিন্তু তার পরেও রাজ্যের বিভিন্ন পুর এলাকায় নোংরা জমে থাকতে দেখা যাচ্ছে। বসিরহাট পুর এলাকাও তার ব্যতিক্রম নয়। এই এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গিয়েছে, নিকাশি নালায় জমে রয়েছে নোংরা জল। সেখানেই জন্মাচ্ছে মশার লার্ভা। আবার কোথাও কোথাও নিকাশি নালার উপরেই তৈরি হয়েছে বেআইনি নির্মাণ। ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জলনিকাশি। সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। শহরে হচ্ছে মশাবাহিত নানা রোগ।

বসিরহাট শহরের পাশ দিয়ে ইছামতী নদী বয়ে গেলেও বৃষ্টি হলে এলাকার নিকাশি নালাগুলি উপচে যায়। কারণ নোংরা জমে থাকার কারণে ওই নালাগুলির জলবহন ক্ষমতা নেই বললেই চলে। তবে শুধু নালা নয়, নোংরা জমে থাকে রাস্তাতেও। ইটিন্ডা রোডের পাশে, বসিরহাট থানা লাগোয়া পাঁচিল, বসিরহাট সংশোধনাগারের সামনে ডাঁই করে নোংরা জমে থাকতে দেখা গিয়েছে। সেখান থেকে ছড়াচ্ছে দূষণ। দুর্গন্ধের দাপটে স্থানীয় বাসিন্দাদের টেকাই দায়। অনেকে নাকে রুমাল দিয়ে যাতায়াত করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার পক্ষ থেকে নিয়মিত সাফাই অভিযান চালায় না। এছাড়া অনেকে বাড়ির নোংরা রাস্তায় অথবা নিকাশি নালায় মধ্যে ফেলে চলে যান। তাই জন্যই শহরের এই অবস্থা। তাঁদের দাবি, পুরসভা সব জেনেও ব্যবস্থা নেয় না।

Advertisement

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাট শহরের রাস্তায় জমে থাকা ময়লা নষ্ট করার জন্য দু’টি গাড়ি আনা হয়েছে। সেগুলি কাজও করছে। পুরপ্রধান তপন সরকারের দাবি, ‘‘আমরা পুর এলাকা পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করি। তবে এর জন্য নাগরিকদেরও সচেতন থাকতে হবে। কারণ নিকাশি নালা সাফাইয়ের পরেও সেখানে নতুন করে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করছি।’’

তপনবাবু জানান, পুরসভার প্রতিটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে নিজের নিজের এলাকার নিকাশি নালা নিয়মিত সাফাই করতে বলা হয়েছে। নিকাশি নালার উপরে যাতে নতুন করে বেআইনি নির্মাণ না হয় তার জন্য নজরদারি চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন