বুকে বল পাচ্ছে গোবরডাঙা

নতুন থানা পেয়ে দীর্ঘ দিনের চাহিদা মিটল গোবরডাঙাবাসীর। 

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র

গোবরডাঙা  শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:১৭
Share:

ভরসা: মিটল বহু দিনের দাবি। ছবি: সুজিত দুয়ারি

নতুন থানা পেয়ে দীর্ঘ দিনের চাহিদা মিটল গোবরডাঙাবাসীর।

Advertisement

শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারাসতে যাত্রা উৎসবে এসে গোবরডাঙা থানার উদ্বোধন করেছেন। গোবরডাঙার পুরপ্রধান সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘নতুন থানার জন্য পুরসভার একটি নিজস্ব দ্বিতল ভবন পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।’’

সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে নতুন থানা হিসাবে গোবরডাঙার নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। রাজ্য পুলিশের একটি প্রতিনিধিদল গোবরডাঙায় এসে এলাকা সরেজমিনে সমীক্ষা করে যান। পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, ১৮৭০ সালে গোবরডাঙা পুরসভা তৈরি হয়। ২০০৯ সালের জনগনণা অনুযায়ী পুর এলাকার জনসংখ্যা ৪৬ হাজার। পুরসভার দাবি, এখন সংখ্যাটা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মোট এলাকা প্রায় ১৪ বর্গ কিলোমিটার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোবরডাঙা পুর এলাকা ছাড়াও সংলগ্ন মছলন্দপুর ১, মছলন্দপুর ২ ও বেড়গুম ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাও নতুন থানার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

Advertisement

১৮৫২ সালের ২০ নভেম্বর নদিয়া জেলা থেকে আলাদা হয়ে তৎকালীন ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্ভুক্ত হয় গোবরডাঙা। তার আগে এখানে থানা ছিল। কিন্তু ওই তারিখের পর থেকে কখনও পূর্ণাঙ্গ থানা পায়নি গোবরডাঙা। সেই চাহিদাই এত দিনে পূরণ হল। এত দিন গোবরডাঙা ছিল হাবড়া থানার অন্তর্গত। গোবরডাঙায় ছিল পুলিশ ফাঁড়ি। সেই ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে পারতেন মানুষ। কিন্তু এফআইআরগুলি হাবড়া থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হত। মানুষকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে হাবড়া থানায় যেতে হত থানার আধিকারিক বা তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে কথা বলতে। তাতে সময় লাগত বেশি। খরচও পড়ত।

বছর পনেরো আগেও দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে নাজেহাল ছিলেন গোবরডাঙার মানুষ। খুন, জখম, চুরি, ডাকাতি, বোমাবাজি ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। বেশি রাতে পথে বেরোতে ভয় পেতেন মানুষজন। বাইরে থেকে দুষ্কৃতীরা অপরাধ ঘটিয়ে এখানে এসে গা ঢাকা দিত। ফাঁড়িতে পুলিশ কর্মী যথেষ্ট থাকত না। বড় কোনও ঘটনা ঘটলে হাবড়া থানা থেকে পুলিশ আসতে আসতে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যেত বলে আগে বহু ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এখন অপরাধ অনেকটাই কমেছে এলাকায়। বোমা-গুলির শব্দ বহু দিন শোনা যায়নি। এলাকাবাসী মনে করছেন, থানা হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলার আরও উন্নতি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন