জ্যোতিশ্বর শূর এবং মৌমিতা
বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। কোনও মতে দরজা ফাঁক করে তাঁরা দেখেন, ঘরের সিলিং থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন গৃহকর্তা। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় থানার ব্যারাকপুর শঙ্খবণিক এলাকায়। ওই যুবকের সুইসাইড নোট এবং পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, মৃত যুবক জ্যোতিশ্বর শূর (৩৫) দর্জির কাজ করতেন। চার বছর আগে আগরপাড়ার বাসিন্দা মৌমিতার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। এমনকী, মৌমিতার এক শিক্ষকের আসা-যাওয়া নিয়েও ঝগড়া হত। কয়েক মাস আগে স্ত্রীকে মোবাইল কিনে দেন জ্যোতিশ্বর। অভিযোগ, সারা ক্ষণই তা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন মৌমিতা। এর জেরে অশান্তি হওয়ায় কয়েক দিন আগে মোবাইলটি ভেঙে দেন ওই যুবক। তখনই বাড়ি ছেড়ে খড়দহে দিদির বাড়িতে চলে যান মৌমিতা।
গত শুক্রবার স্ত্রীকে আনতে খড়দহে যান জ্যোতিশ্বর। সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন, সেখানে মৌমিতার বাপের বাড়ির লোকেরা তাঁকে চূড়ান্ত অপমান করেন। এমনকী, মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। সেই অপমানেই এ দিন আত্মহত্যা করেন জ্যোতিশ্বর। রবিবার সকালে প্রতিবেশীরা ঘর থেকে কটু গন্ধ পেলেও প্রথমে কিছু সন্দেহ করেননি। তবে সন্ধ্যায় তার মাত্রা বাড়ে। তখনই দরজা ফাঁক করে জ্যোতিশ্বরকে ঝুলতে দেখেন তাঁরা। খবর পেয়ে মৌমিতা সেখানে এলে ওই যুবকের পরিজনেরা ও স্থানীয়েরা তাঁকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। টিটাগড় থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে গ্রেফতার করে।