প্রতীকী ছবি।
জমির জন্য এক বধূকে খুন করে হাসপাতালে ফেলে রেখে পালানোর অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামী, শ্বশুরের বিরুদ্ধে। বুধবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে বাদুড়িয়া থানার নারায়ণপুর গ্রামে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম অমিনা বিবি (২০)। তাঁকে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বধূর বাবা রউফ মল্লিকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নিহতের স্বামী কায়ূম বিশ্বাসকে এ দিন বিকেলে ওই এলাকা থেকে ধরা হয়। শ্বশুর সুরত বিশ্বাস, শাশুড়ি সাহানারা বিবি-সহ পাঁচজনের নামে পুলিশ মামলা শুরু করেছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর কয়েক আগে কায়ূম বিশ্বাসের সঙ্গে আমিনার বিয়ে হয়। তাঁদের দুই সন্তান। নিহতের বাবা জানান, বিয়েতে জামাইয়ের চাহিদা মতো জিনিসপত্র দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও টাকা এবং মোটরবাইক চেয়েছিল মেয়ের শ্বশুরবাড়ি। চার মাস আগে জামাইকে একটি বাইকও কিনে দিয়েছিলেন রউফ। কিন্তু তাতেও তার চাহিদা মেটেনি। এ বার একটি জমি কিনে দেওয়ার জন্য মেয়ের উপর অত্যাচার করছিল জামাই বলে জানান রউফ।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, মঙ্গলবার আমিনাকে বেধড়ক মারধর করা হলে সে গুরুতর অসুস্থ হন। গভীর রাতে তাঁকে স্থানীয় রুদ্রপুর হাসপাতালে নিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। সেখানে চিকিৎসকেরা ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তা জানতে পেরে মৃতদেহ ফেলে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পালায়। এই ঘটনার পর প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই তরুণীর বাবা আসেন।