থমকে থাকা ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প চালু করতে কিছু কারিগরি পরিবর্তন এবং ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিবেচনার আশ্বাস মিলল। যা সমস্যা সমাধানের পথে আরও এক ধাপ এগোনো বলে মনে করছে প্রশাসন এবং আন্দোলনকারীরা।
দ্বিতীয় দফায় সোমবার ফের জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলিপুরে ভাঙড়ের জমি রক্ষা কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক হল। কয়েক সপ্তাহ আগেও একবার ওই বৈঠক হয়েছিল। সে বার কোনও নকশাল নেতা উপস্থিত না-থাকলেও এ দিন নেত্রী শর্মিষ্ঠা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসনের তরফে ছিলেন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও ও বারুইপুরের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ। ছিলেন পাওয়ার গ্রিড এবং বিদ্যুৎ দফতরের কর্তারা। সেখানেই পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষ ওই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, ওই এলাকায় মাটি থেকে তারের উচ্চতার বিষয়টি নজরে রাখা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে মাটির তলা দিয়ে কেব্ল নিয়ে যাওয়া হবে বলেও পাওয়ার গ্রিডের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওরা ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে। জেলাশাসক বলেন, ‘‘পাওয়ার গ্রিড সমস্যা সমাধানে এক ধাপ এগোনো গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।’’
জমি রক্ষা কমিটির তরফে পাওয়ার গ্রিড আধিকারিকদের ওই আশ্বাস লিখিত ভাবে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। শর্মিষ্ঠাও বলেন, ‘‘আমাদের দীর্ঘদিনের দাবিমতো সরকারপক্ষ বৈঠক করলেন। বরফ গলেছে বলে মনে হচ্ছে। সদর্থক বৈঠক। তবে আরও বৈঠকের প্রয়োজন। সরকার সমস্যা সমাধানে সক্রিয় হলে নিশ্চয় তা মিটতে পারে।’’
এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ঘণ্টাদুয়েক ওই বৈঠক হয়। অলীক চক্রবর্তী-সহ জেলবন্দি নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি তোলে জমি রক্ষা কমিটি। পুলিশকর্তারা আইনি পথেই মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানান। তাঁদের ব্যাখ্যা, ‘‘ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তা আদালতের বিচারাধীন। তাই আইনি পথেই এগোতে হবে। শর্মিষ্ঠা বলেন, ‘‘জেলবন্দিদের মুক্তির পরেই সুষ্ঠু আলোচনার পরিবেশ তৈরি হবে।’’ জমি রক্ষা কমিটির তরফে ভাঙড়-২ ব্লকের বেশ কয়েকটি বেহাল রাস্তা অবিলম্বে সংস্কারে দাবি করা হয়।