হাসেমকে বাড়ি ফেরাল হ্যাম রেডিও

বৃহস্পতিবার বছর চল্লিশের হাসেম আলি মিস্ত্রি নামে ওই ব্যক্তিকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

দিলীপ নস্কর

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৩৮
Share:

খোঁজ: হাসপাতালে হাসেম। নিজস্ব চিত্র

দিন কয়েক ধরে খোঁজ মিলছিল না মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তির। শেষমেশ তাঁকে ফেরানো গিয়েছে বাড়ি। সৌজন্যে, ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার ও হ্যাম রেডিও ক্লাব।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বছর চল্লিশের হাসেম আলি মিস্ত্রি নামে ওই ব্যক্তিকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার সুপ্রিম সাহা বলেন, ‘‘এই নিয়ে ১০-১২ জনকে ঘরে ফেরাতে পারলাম। ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার সময়ে নাম বলতে পারলেও ঠিকানা ঠিকঠাক বলতে পারছিলেন না। ওঁর চিকিৎসার প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে হ্যাম রেডিওর সঙ্গে যোগাযোগ করি।’’ হাসেমের নিরাপত্তার জন্য তাঁর হাতে নাম ও ফোন নম্বর ট্যাটু করে দেওয়া হয়েছে।

এগারো দিন আগে জীবনতলা থানার উত্তর পাতিখালি গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। এর আগেও কয়েকবার উধাও হয়েছেন। আবার নিজে ফিরেও এসেছেন। কখনও পরিবাবারের লোকজন খোঁজাখুজির পরে উদ্ধার করেছেন। এ বারও পরিবারের লোকজন ভেবেছিলেন, হয় তো একদিন নিজেই ফিরে আসবেন হাসেম। কিন্তু বেশ কয়েক দিন কেটে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েন তাঁরা।

Advertisement

১ ডিসেম্বর কুলপি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ডান পা ভাঙা অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে তাঁকে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে অতিরিক্ত সুপার রাউন্ডে আসেন। তাঁর নজরে পড়ে বিষয়টি। হামেসের কথাবার্তা ভিডিও করে হ্যাম রেডিও ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাসের কাছে পাঠান সুপ্র্রিম।

হ্যামের সদস্যেরা অনেক খোঁজখবর করে হাসেমের বাড়ির সন্ধান পান। বৃহস্পতিবার দুপুরে হ্যাম রেডিও ক্লাবের দুই সদস্য পম্পা সাধুখাঁ ও গোবিন্দ ঘরামির সঙ্গে হাসপাতালে পৌঁছন হাসেমের বাবা ওয়েদ আলি ও ভাই নাসিব আলি মিস্ত্রি। প্রমাণ হিসাবে সঙ্গে আনেন হাসেমের আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড। ওয়েদ বলেন, ‘‘ছোট থেকেই ও কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একটা ছেলেও রয়েছে। তবে তারা আমাদের কাছে থাকে না। এই নিয়ে ৮-১০ বার নিখোঁজ হল ও।’’ ভাই জানান, হাসপাতালে রেখে আর কয়েক দিন চিকিৎসা করা করে একটু সুস্থ হলে দদাকে বাড়ি নিয়ে যাবেন।

অম্বরীশ বলেন, ‘‘হাসপাতাল ও পরিবারের লোকজনের সহযোগিতায় দ্রুত পরিচয় পাওয়া গেল। পরিবারের হাতে তুলে দিতে পেরে ভাল লাগছে। তবে আমাদের অনুরোধ, কোনও পরিবারে এমন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী থাকলে তাঁর হাতে নাম ও ফোন নম্বরের ট্যাটু করে দেওয়া উচিত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন