প্রতীকী ছবি।
মহাসপ্তমীর বিকেলে কামারহাটির রাস্তা এবং সংলগ্ন শপিং মল তখন জমজমাট। সেই মলের সামনে এক যুবককে চার-চার বার গুলি করে রিভলভার হাতে নিয়েই হাঁটতে হাঁটতে চলে গেল দুষ্কৃতী। হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকায় কেউ তাকে ধরার সাহস দেখাননি বলে জানাচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পুলিশ জানায়, নিহত যুবকের নাম মহম্মদ কুদ্দুস (৩৬)।
টিটাগড়ের বাসিন্দা কুদ্দুস বুধবার সপরিবার শপিং মলে বাজার করতে গিয়েছিল। ‘‘টুকিটাকি বাজার সেরে মলের সামনে দাঁড়িয়ে আমরা ফুচকা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ একটা ছেলে সামনে এসে দাঁড়াল। তাঁর মুখে কালো কাপড় বাঁধা। হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রটা তুলে আমার স্বামীকে গুলি করল চার বার। তার পরে চলে গেল,’’ বললেন কুদ্দুসের স্ত্রী নেহা বিবি।
কী ঘটছে, শপিং মলের লোকজন তা বুঝতেই পারেননি। ফুচকা, ভেলপুরি বিক্রেতারাই একটি অটো ডেকে রক্তাক্ত কুদ্দুসকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে কুদ্দুসকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
পুলিশ জানায়, অপরাধজগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কুদ্দুস। টিটাগড় ও খড়দহ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগও ছিল। কিন্তু পুজোর সময় বি টি রোডের মতো জনাকীর্ণ রাজ্য সড়কের উপরে এ ভাবে গুলি করে ঘাতকের হেঁটে চলে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশকর্তাদেরও কপালে ভাঁজ পড়েছে। পুলিশের অনুমান, ব্যক্তিগত আক্রোশেই এই খুন।