ওষুধ কিনে বাড়ি ফেরার পথে এক মহিলাকে আটকে তল্লাশির নামে মারধরের অভিযোগ উঠল বিএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে। এক জওয়ান তাঁর শ্লীলতাহানি করেছে বলেও মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন।
ঘটনাটি বাগদা থানার কুলিয়া সীমান্ত এলাকার। পুলিশ জানিয়েছে, বছর চুয়াল্লিশের ওই মহিলা এখন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তাঁর স্বামী পেশায় দিনমজুর। তিনিই বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগদা থানায় বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ দিন সন্ধ্যায় সিআই গাইঘাটা পার্থ সান্যাল বনগাঁ হাসপাতালে গিয়ে ওই মহিলার বক্তব্য রেকর্ড করেছেন। বনগাঁর এসডিপিও বিশ্বজিৎ মাহাতো বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ওই মহিলা স্থানীয় হেলেঞ্চা বাজারে এসেছিলেন ওষুধ কিনতে। বাস ধরে ফিরছিলেন বাড়িতে। বাস থেকে নেমে হাঁটার সময়ে কুলিয়া এলাকায় কর্তব্যরত জওয়ানেরা তাঁকে আটকে তল্লাশি করেন। মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, একজন পুরুষ এবং দু’জন মহিলা জওয়ান ছিলেন সেখানে। অভিযোগ, তল্লাশির নামে মহিলাকে মারধর করা হয়। শ্লীলতাহানিও হয়েছে। পরে স্থানীয় রনঘাট ক্যাম্পে নিয়ে গিয়েও মারধর করা হয় তাঁকে। মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে প্রথমে বাগদা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যান প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজন। পরে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সম্প্রতি তল্লাশি নামে বিএসএফ গ্রামের মানুষকে নানা ভাবে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেন।