বাইক চুরি চক্রে পাকড়াও ছয় দুষ্কৃতী

হাতের তালুতে লুকিয়ে রাখা ছোট্ট একটি লোহার যন্ত্র। তার এক মোচড়েই কেল্লা ফতে!

Advertisement

শুভাশিস ঘটক

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৭ ০২:৪৪
Share:

হাতের তালুতে লুকিয়ে রাখা ছোট্ট একটি লোহার যন্ত্র। তার এক মোচড়েই কেল্লা ফতে!

Advertisement

ওই গুপি যন্ত্র দিয়েই তালা ভেঙে কলকাতা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে দীর্ঘ দিন বিক্রি করছিল হোসেন পুরকাইত ও তার দলবল। সম্প্রতি ওই চক্রের কথা জানতে পেরে ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে মহেশতলা থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে ১৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

তদন্তকারীরা জানান, বছর চারেক ধরে মোটরসাইকেল চুরি চক্র চালাচ্ছিল হোসেন। কলকাতা থেকে বাইক চুরি করে প্রথমে সেটির নম্বর প্লেট বদলে নিত তারা। তার পরে গ্রামের লোকেদের খুব কম দামে বিক্রি করত। এমনকী ইদানীং কয়েকটি টোটো চুরি করেও বিক্রি করেছে ওই চক্রটি। পুলিশ কর্তারা জানান, গত চার বছরে দক্ষিণ শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় ‘অপারেশন’ চালিয়েছে হোসেনের দলবল। সম্প্রতি খবর পেয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পারুলিয়া উপকূল থানা এলাকার বাসিন্দা হোসেনকে ধরে পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে আরও পাঁচ জনকে ধরা হয়।

Advertisement

এক পুলিশ কর্তার কথায়, সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে বাইকের উপর তেমন নজরদারি থাকে না। ওই সব এলাকায় হেলমেট না পরাটাই রেওয়াজ। দুর্ঘটনা না ঘটলে রাস্তায় সাধারণত বাইকের তল্লাশি বা কাগজপত্র দেখা হয় না। তারই সুযোগ নিত ওই চক্র। ভুয়ো নম্বর প্লেটের সঙ্গে দেওয়া হতো গাড়ির জাল কাগজ়। সাধারণত ওই এলাকা থেকে বাইক শহরে আসতে পারে না। ফলে গ্রামে যাঁরা ওই বাইক কিনতেন, তাঁরা সেখানে দিব্যি তা নিয়ে ঘুরতেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, চোরাই বাইকগুলি ভুটভুটিতে চাপিয়ে গ্রামগুলিতে বিক্রি করা হত। ২০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দর হাঁকা হতো হলে জেরায় জানায় হোসেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন