—প্রতীকী চিত্র
৬০ হাজার টাকার বেশি মূল্যের জমিজমা, বসতবাড়ি, নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র বা আর্থিক ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত কোনও মামলা হলেই তার বিচার আর কাকদ্বীপ আদালতে হতো না। বিচার প্রার্থীদের চলে যেতে হতো ডায়মন্ড হারবার বা আলিপুর আদালতে। কাকদ্বীপ বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানোর পরে সুফল মিলেছে। অবশেষে কাকদ্বীপে নিযুক্ত হলেন সিনিয়র ডিভিশনের সাব জজ। আরও একজন এডিজে বিচারকও নিয়োগ হয়েছেন কাকদ্বীপে। পুরনো মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির আশা রয়েছে নতুন নিয়োগে।
২০১৫ সালের শেষে মডেল আদালত চালু হওয়ার পর থেকেই কলকাতা হাইকোর্টের কাছে বাড়তি বিচারক নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছিল বার অ্যাসোসিয়েশন। কাকদ্বীপ বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বীণা হালদার এবং সভাপতি মানস দাসরা জানান, সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য এবং দেবাশিস করগুপ্ত কাকদ্বীপ আদালত পরিদর্শনে এসে এ কথা জানিয়েছে। জুলাই থেকেই কাজ শুরু করবেন নতুন ওই দুই বিচারক। সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় কাকদ্বীপে শুনানির ঊর্ধ্বসীমা এর আগে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঠিক করা ছিল। দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবস্থায় ক্ষুব্ধ ছিলেন কাকদ্বীপের বিচারপ্রার্থীরা। সিনিয়র সাব জজের অভাবে তাদের ছুটতে হচ্ছিল ডায়মন্ড হারবার বা আলিপুরে।
এই মুহূর্তে কাকদ্বীপ আদালতে জমে রয়েছে প্রায় ১১ হাজার মামলা। হাইকোর্টের বিচারপতিরা আরও দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন বলে জানান বারের নেতারা। আদালত ভবনের দক্ষিণ দিকের খালি জায়গায় আদালতের জন্য খানিকটা জায়গা রেখে বাকিটা আইনজীবী এবং ল ক্লার্কদের সেরেস্তার জন্যও দেওয়া হবে। একই সঙ্গে নীচের তলায় চালু হবে ক্যান্টিন। বাসস্ট্যান্ডের কাছেই ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে আদালত। সেখানে যাতায়াতের পথে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা এড়াতে আদালতের সামনে জেব্রা ক্রসিং তৈরি করা এবং নো হর্ন জোন তৈরি করার নির্দেশও পুলিশকে দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতিরা।