ঘাটে নেই আলো, নদীতে চর, খেয়াপথে ভোগান্তি যাত্রীদের

নদীর মাঝে তৈরি হয়েছে চর। ভাটার সময়ে সেই চরে আটকে থাকছে নৌকো। রায়দিঘি ও ঢোলাহাটের সংযোগস্থলে সুতারভোগ নদীতে নারদের ঘাট থেকে মিলনমোড় ঘাট পারাপারে এই সমস্যা রোজকার। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ওই দুই ঘাটের বেহাল পরিকাঠামো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়দিঘি শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:০৫
Share:

এ ভাবেই চলছে পারাপার। ছবি: দিলীপ নস্কর।

নদীর মাঝে তৈরি হয়েছে চর। ভাটার সময়ে সেই চরে আটকে থাকছে নৌকো। রায়দিঘি ও ঢোলাহাটের সংযোগস্থলে সুতারভোগ নদীতে নারদের ঘাট থেকে মিলনমোড় ঘাট পারাপারে এই সমস্যা রোজকার। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ওই দুই ঘাটের বেহাল পরিকাঠামো।

Advertisement

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দশক ধরে রায়দিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মথুরাপুর-২ ব্লকের নন্দকুমারপুর পঞ্চায়েতের ওই দুই ঘাটের মধ্যে পারাপার করছেন নন্দকুমারপুর, কুমড়োপাড়া–সহ আশপাশের কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকার লোকজন। ওই এলাকার বাসিন্দাদের কলকাতা যাওয়ার জন্য বাস কিংবা ট্রেন ধরতে গেলেও খেয়াপথ ব্যবহার করতে হয়। রায়দিঘি এলাকায় সব্জি চাষিরা ওই খেয়াপথ দিয়েই হাটে যান। ঢোলাহাটের মিলনমোড় এলাকার বাসিন্দাদের রায়দিঘি বাজার, হাসপাতালে, কলেজে যেতে হলও ওই খেয়াপথ ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু দু’টি ঘাটই নানা সমস্যায় জর্জরিত। তার উপরে বছর পাঁচেক আগে নদীর মাঝে চরটি গজিয়ে ওঠে। তারপর থেকে সমস্যা আরও বেড়েছে।

ওই খেয়াপথে ভোর ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পারাপার চলে। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, রায়দিঘির দিকে নারদের ঘাটে আলো, পানীয় জলের নলকূপ, শৌচাগার নেই। যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের শেডটিও বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। ওই ঘাট-সংলগ্ন রাস্তাটি খানাখন্দে ভর্তি। মিলনমোড়ের ঘাটটি তুলনায় ভাল হলেও সেখানে আবার ওঠানামার স্ল্যাব সরে গিয়েছে। অন্ধকার নামলেই যাত্রী পারাপারে সমস্যা হয়। তারপর মাঝ নদীতে গিয়ে চরে আটকে থাকছে নৌকো।

Advertisement

এখন ওই খেয়াপথটি পরিচালনা করেন প্রসেনজিৎ মণ্ডল নামে এক যুবক। তিনি বলেন, ‘‘বহু বছর ধরে আমাদের পরিবার এই খেয়া পারাপারের দায়িত্বে রয়েছে। ঘাটের পরিকাঠামোগত সমস্যায় জন্য প্রায় নিত্যযাত্রীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। পুরো বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও বিধায়ককে জানানো হয়েছে।’’

যদিও ব্লক প্রশাসনের অবশ্য দাবি, তারা বিষয়টি জানেই না! মথুরাপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পুতুল গায়েন বলেন, ‘‘ঘাট নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেব।’’ মথুরাপুর ২ বিডিও মোনালিসা তিরকে বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন