মন্দিরবাজারের বীরেশ্বরপুর কলেজে ভাঙচুরের পরে এক দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ। সোমবার ওই কলেজের ছাত্র সংসদের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদককে পছন্দ না হওয়ায় ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে জনা তিরিশ দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাদের নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক জয়দেব হালদারের দুই ছেলে সুদীপ-সন্দীপ ও ভাই বাসুদেব হালদার। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
সোমবারের গোলমালের পরে মঙ্গলবার কলেজের পরিবেশ ছিল থমথমে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত থাকলেও এ দিন ছাত্রছাত্রীরা বেশির ভাগই আসেননি। কলেজের গেটে পুলিশ পাহারা থাকলেও কলেজের সামনে থেকে কয়েকজন পড়ুয়াকে ফিরে যেতে দেখা গিয়েছে। কৃষ্ণদেবপুরের বাসিন্দা মিনতি মণ্ডল-সহ কয়েক জন পড়ুয়া জানান, ভাঙচুরের ঘটনার পরে তারা এতটাই ভয় পেয়েছেন, ক্যাম্পাসে ঢোকার সাহস পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে আজ, বুধবার থেকে কলেজে বিএ দ্বিতীয় বর্ষের টেস্ট পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা।
টিএমসিপির কলেজ ইউনিট সভাপতি বিজেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘কিছু ছাত্রছাত্রী এ দিন কলেজ গেটে এসেও ভয়ে ফিরে গিয়েছেন। আমরা পড়ুয়াদের বোঝাচ্ছি, কলেজে এখন ভয়ের কোনও পরিবেশ নেই।’’
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সব ক’টি আসনেই বিনা লড়াইয়ে জিতে গিয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। মঙ্গলবার ছিল ছাত্র সংসদের পদাধিকারী নির্বাচন। অভিযোগ, নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদককে পছন্দ না হওয়ায় কলেজে লোকজন নিয়ে ঢুকে অবাধে ভাঙচুর চালান তৃণমূল বিধায়কের জয়দেববাবুর আত্মীয়েরা। জয়দেববাবু ওই কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি। এ দিন কলেজে এসেছিলেন অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ জমাদার হাসান। বিধায়কের নাম না করে এ দিন তিনি বলেন, ‘‘একজন মানুষের দুর্বল মস্তিক এবং অযোগ্যতার জন্যই কলেজে এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটল।’’ তবে তাঁর আশ্বাস, এটি একটি বিছিন্ন ঘটনা। পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কলেজে শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।