বজবজে নেই পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রিছাউনি

বাসও আছে, অটোও আছে। প্রতি দিন অসংখ্য নিত্যযাত্রী যাতায়াত করছেন। কিন্তু নেই পর্যাপ্ত যাত্রিছাউনি। নেই নির্দিষ্ট বাসস্ট্যান্ডও। ফলে সমস্যায় পড়ছেন বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীরা। যেখানে-সেখানে বাস থামিয়ে ওঠা-নামাও চলছে। ছবিটা বজবজ পুর এলাকার। সামনে পুরভোট। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে।

Advertisement

সুপ্রিয় তরফদার

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৫১
Share:

এমনই দশা যাত্রিছাউনির।—নিজস্ব চিত্র।

বাসও আছে, অটোও আছে। প্রতি দিন অসংখ্য নিত্যযাত্রী

Advertisement

যাতায়াত করছেন। কিন্তু নেই পর্যাপ্ত যাত্রিছাউনি। নেই নির্দিষ্ট বাসস্ট্যান্ডও। ফলে সমস্যায় পড়ছেন বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীরা। যেখানে-সেখানে বাস থামিয়ে ওঠা-নামাও চলছে। ছবিটা বজবজ পুর এলাকার। সামনে পুরভোট। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোটা এলাকা জুড়েই যেখানে খুশি বাস ও অটো থামে। সারা পুর এলাকায় কয়েকটি মাত্র যাত্রিছাউনি রয়েছে। বজবজের প্লাস্টার মোড় গোটা এলাকার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। একটি রাস্তা চড়িয়াল
থেকে সোজা চলে গিয়েছে ডাকঘরের দিকে। ওই মোড় থেকেই আর একটি রাস্তা চলে গিয়েছে বজবজ রেল স্টেশনের দিকে। এই মোড়ের পাশেই রয়েছে পুরসভার হাসপাতাল। রয়েছে বড় একটি বাজারও। সেখানে রাস্তার এক পাশে একটি যাত্রিছাউনি রয়েছে। কিন্তু সেটিও বহু পুরনো, একাংশ ভেঙে গিয়েছে। রোদ থেকে বাঁচলেও বৃষ্টির থেকে রেহাই মেলে না। বসার জায়গাও নেই। এক নিত্যযাত্রী বলেন, ‘‘যাত্রিছাউনিতে দাঁড়াতে ভয় হয়, যে কোনও সময় মাথায় ভেঙে পড়তে পারে চাঙড়। বিকল্প কোনও ব্যবস্থা নেই।’’

Advertisement

বাসিন্দারা জানান, পুর-এলাকায় আর যাত্রিছাউনি নেই। ফলে যাত্রীরা যেখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে থাকেন। বাসও যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলে। পুলিশ থাকলেও অবস্থার পরিবর্তন হয় না। ব্যস্ত রাস্তায় হঠাৎ করে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করতে গিয়ে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের। একই ছবি সুভাষ উদ্যান, চড়িয়াল এলাকাতেও।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, কলকাতার লাগোয়া এলাকা হওয়া সত্ত্বেও সুন্দর ভাবে সাজাতে উদ্যোগী নয় পুরসভা। এ প্রসঙ্গে বজবজ পুরসভার বিরোধী দল সিপিএমের নেতা প্রদ্যুৎ মজুমদার বলেন, ‘‘পুর এলাকায় কোনও যাত্রিছাউনি নেই। পুরসভার হোক, সাংসদ বা বিধায়ক তহবিল থেকেও হোক যাত্রিছাউনি তৈরি করা যেতে পারত। কিন্তু পুরসভা উদ্যোগী হয়নি।’’ যদিও এই অভিযোগ মানতে রাজি হননি বিদায়ী পুরবোর্ডের উপ-পুরপ্রধান তৃণমূলের গৌতম দাশগুপ্ত। পুর-কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, জায়গার অভাবে যাত্রিছাউনি হয়নি। তবে এ বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন