বনগাঁতেও ছড়াচ্ছে জ্বর-ডেঙ্গি, মৃত ১ জন 

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,  গাইঘাটার ঘোঁজা এলাকার বাসিন্দা বিজলি সরকার (৫২) ১ অগস্ট বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির উল্লেখ ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৯ ০৪:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

বনগাঁ মহকুমাতেও জ্বর-ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে এক মহিলা মারাও গিয়েছেন ডেঙ্গিতে। অনেকেই জ্বর-ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গাইঘাটার ঘোঁজা এলাকার বাসিন্দা বিজলি সরকার (৫২) ১ অগস্ট বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির উল্লেখ ছিল। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই মরসুমে মহকুমা হাসপাতালে ডেঙ্গি রোগী ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৭০ জন। মহকুমা হাসপাতাল ছাড়াও ডেঙ্গি আক্রান্ত বহু মানুষ হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল বা নার্সিংহোমেও চিকিৎসা করাচ্ছেন। বনগাঁ মহকুমার সব থেকে উদ্বেগজনক অবস্থা হাবড়া-সংলগ্ন জলেশ্বর, ধর্মপুর, কুলপুকুর, ঘোঁজার মতো বেশ কিছু এলাকায়।

মহকুমা প্রশাসনের তরফে জ্বর-ডেঙ্গি প্রতিরোধে পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। হাসপাতালে আসা ডেঙ্গি রোগীর বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের কর্মীরা দফায় দফায় খোঁজ খবর নিচ্ছেন। মশা মারার তেল, চুন, ব্লিচিং ছড়ানো হচ্ছে। মশার লার্ভা খুঁজে বের করা হচ্ছে।

Advertisement

মহকুমাশাসক কাকলি মুখোপাধ্যায় নিজে জ্বর-ডেঙ্গি ছড়ানো গ্রামগুলিতে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার বাগদা ব্লকের পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে তিনি বৈঠক করেন। জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করেন, জ্বরে আক্রান্তের বাড়ি গিয়ে সকলে যেন খোঁজ-খবর করেন। রক্ত পরীক্ষা করিয়েছেন কিনা, তা দেখতে বলা হয়। ইতিমধ্যে বেশ কিছু এলাকায় শিবির করে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জ্বরে আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

গোপালনগরের পাল্লা পঞ্চায়েত এলাকাতেও এ বার জ্বর-ডেঙ্গি ছড়িয়েছে। অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি। তবে মানুষ এখানে তেমন সচেতন নন। এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, অনেক বাড়ি-সংলগ্ন ডোবায় জল জমে রয়েছে। গাইঘাটার সুটিয়া রামনগর ডুমা পঞ্চায়েত এলাকায় জ্বর-ডেঙ্গি শুরু হয়েছে। গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস বলেন, ‘‘পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সর্তক। ঝোপ-জঙ্গল সাফ করা হচ্ছে। মশা মারার তেল ছড়ানো হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন