উধাও: হাবরায়। নিজস্ব চিত্র
পাঁচশো সিসি ক্যামেরায় শহরের অলিগলি মুড়ে ফেলার কথা। কয়েকশো ক্যামেরা বসেও গিয়েছে।
কিন্তু তারপরেও চুরির ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তার হাল ফিরল কিনা, সে প্রশ্ন উঠছে। গ্রামীণ হাবরারও একই হাল। একই রাতে দু’টি সোনার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে সোমবার।
ঘটনাস্থল হাবরা শহর-লাগোয়া বামিহাটি নতুনহাট বাজার। দু’টি দোকানে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। কয়েক লক্ষ টাকার গয়না উধাও। কয়েক হাজার টাকাও নিয়ে পালিয়েছে তারা। দিন তিনেক আগেও গ্রামীণ এলাকার কুমড়া বাজারে দু’টি সোনার দোকানে চুরি হয়েছে। কিছু খালি বাড়িতে চুরিও হয়েছে। পর পর এমন ঘটনায় আতঙ্কে ছড়াচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। নতুন কোনও দুষ্কৃতী দল এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে বলে অনুমান তাদের।
বাজারে কোনও নৈশ প্রহরী থাকে না বলে জানালেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। সোনার দোকানে সিসি ক্যামেরাও নেই। রাতে পুলিশি টহলও দেখা যায় না বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
সম্প্রতি হাবরা থানার আইসি মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকার সমস্ত বাজার কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়, বাজার কমিটিগুলির রাত পাহারার ব্যবস্থা করা উচিত। সঙ্গে পুলিশ থাকবে। সোনার দোকানের মালিকেরা যেন সিসি ক্যামেরা লাগান, সেই আবেদনও করা হয়। বৈঠকের পরে কয়েকটি বাজারে নৈশপ্রহরী কাজ শুরু করেছেন। কুমড়া বাজার বা বামিহাটিতে অবশ্য তেমন কোনও কমিটি নেই। ফলে নৈশপ্রহরীও রাখা হয়নি।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ‘‘ছোট দোকান। মালপত্র তেমন থাকে না। সে কারণেই সিসি ক্যামেরা বসানো হয়নি।’’ তবে পর পর চুরির ঘটনার পর তাঁরা সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা ভাবছেন। পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকাতেও ক্ষোভ আছে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, পুলিশি টহল আরও বাড়ানো উচিত।
নতুনহাট বাজার এলাকায় বছর পঁচিশের পুরনো দোকান বাদল পালের। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার সময়ে তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন। মঙ্গলবার ভোরে রাস্তা ঝাঁট দিতে এসে এক ব্যক্তি দেখেন, দোকানের শাটার ভাঙা। খবর পেয়ে বাদলবাবু আসেন। তিনি বলেন, ‘‘কয়েক গ্রাম সোনার গয়না ও কয়েক হাজার টাকা দুষ্কৃতীরা চুরি করে নিয়ে গিয়েছে।’’ কাছেই আরও একটি সোনার দোকানেও দুষ্কৃতীরা একই ভাবে ঢুকে সোনা-রুপোর গয়না চুরি করে পালিয়েছে। মালিক ইন্দ্রজিৎ রায় বলেন, ‘‘চোদ্দো বছর দোকান চালাচ্ছি। এই প্রথম এমন ঘটনা।’’