TMC

ভোট করাবে দিদির পুলিশ, বললেন প্রধান

সরকারি মঞ্চে দাঁড়িয়ে যখন এই মন্তব্য করছেন মোদাচ্ছের, তখন একে একে মঞ্চ ছেড়ে নেমে যেতে দেখা যায় ভাঙড় ২ ব্লকের সহ কৃষি আধিকারিক শীর্ষেন্দু আঢ্য

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

ভাঙড় শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৩৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

ভোট করাবে কে, ‘দাদার পুলিশ’ নাকি ‘দিদির পুলিশ’— এ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান মোদাচ্ছের হোসেন। শুক্রবার ভাঙড় ২ ব্লকের ভোগালি ২ পঞ্চায়েতে পাঁচগাছিয়া প্রাথমিক স্কুলের প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ওই পঞ্চায়েতের প্রধান মোদাচ্ছের। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘যে যতই দাদার পুলিশের কথা বলে ভয় দেখাক না কেন, এখানে ভোট করাবে দিদির পুলিশ আর তৃণমূল কর্মীরা। কেন্দ্র থেকে যতই বাহিনী আসুক না কেন তারা দিদির পুলিশের কথা শুনতে বাধ্য।’’ এখানেই থেমে থাকেননি মোদাচ্ছের। আরও বলেন, ‘‘বাইরে থেকে যতই অফিসার আসুক না কেন, সোনার বাংলা হোটেলে তারা ভাল খাবার, মদ খেয়ে ঘুমাবে। ভোট আমরাই করাবো। তাতে কারা দল ছেড়ে গেল, কারা থাকল, কিছুই যায় আসে না।’’ সরকারি মঞ্চে দাঁড়িয়ে যখন এই মন্তব্য করছেন মোদাচ্ছের, তখন একে একে মঞ্চ ছেড়ে নেমে যেতে দেখা যায় ভাঙড় ২ ব্লকের সহ কৃষি আধিকারিক শীর্ষেন্দু আঢ্য, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আরাবুল ইসলাম, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ওহিদুল ইসলামদের। দিন কয়েক আগেও সরকারি মঞ্চে বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন মোদাচ্ছের। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়ে বিরোধীদের হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, ‘‘যারা দিদির দেওয়া স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে অন্য দলের ছত্রচ্ছায়ায় যাবেন, তাদের কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হবে।’’ লোকসভা ভোটেও কৃষক বন্ধু চেক বিলির সময়ে তিনি প্রকাশ্যে বলেন, ‘‘একহাতে চেক নাও, অন্য হাতে মিমি চক্রবর্তীকে ভোট দাও।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী ফোন ধরেননি। বার বার ফোন কেটে দেন। মেসেজেরও উত্তর মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন