সাইকেল চোর সন্দেহে মার যুবককে

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেড়াচাঁপার ওই এলাকা থেকে বেশ কয়েক মাস ধরে বাজার ও দোকানের সামনে থেকে চুরি যাচ্ছিল একের পর এক সাইকেল। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন হাদিপুর এলাকায় একটি কারখানার সামনে থেকে সাইকেলটি চুরি করে ওই যুবককে পালাতে দেখা যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৯ ০৩:১৩
Share:

প্রহৃত: দেগঙ্গায়। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়।

সাইকেল চুরির অভিযোগে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করল জনতা। শুধু তা-ই নয়, তাঁকে কান ধরে ওঠবোস করানো হয় বলেও অভিযোগ। পরে পুলিশ গিয়ে ক্ষিপ্ত জনতার হাত থেকে তাঁকে উদ্ধার করে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায়। ওই ঘটনায় উদ্ধার হওয়া একটি সাইকেল মালিককে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেড়াচাঁপার ওই এলাকা থেকে বেশ কয়েক মাস ধরে বাজার ও দোকানের সামনে থেকে চুরি যাচ্ছিল একের পর এক সাইকেল। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন হাদিপুর এলাকায় একটি কারখানার সামনে থেকে সাইকেলটি চুরি করে ওই যুবককে পালাতে দেখা যায়। সেই দৃশ্য দেখেই এলাকার লোকজন পিছু ধাওয়া করে ওই যুবককে বেড়াচাঁপার হাড়োয়া রোড থেকে ধরে ফেলেন। শুরু হয় গণপিটুনি। ওই যুবককে কান ধরে ওঠবোস করানো বলেও অভিযোগ। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, চুরির অভিযোগে সইফুল মণ্ডল নামে স্বরূপনগরের বাসিন্দা ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশের দাবি, একের পর এক সাইকেল চুরি যাওয়ার পরে এলাকার একটি দোকানের সিসিটিভিতে দেখা যায়, এক যুবক কোমরের সঙ্গে একটি লোহার আঁকশি বেঁধে তা রডের সঙ্গে আটকে সাইকেল নিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ, এ দিনও একই ভাবে সাইকেল নিয়ে পালানোর সময়ে সইফুলকে ধরা হয়। প্রথমে এক সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁকে উদ্ধার করে রাস্তার ধারে একটি দোকানে ঢুকিয়ে দেন।

Advertisement

ওই দোকানের মালিক দীনবন্ধু বিশ্বাস বলেন, ‘‘ক্ষিপ্ত জনতা দোকানে ঢুকে ওকে মারধর করতে করতে কান ধরে ওঠবোস করায়।’’ খবর পেয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশ গিয়ে সইফুলকে উদ্ধার করে।

ক’দিন আগেও চোর সন্দেহে দেগঙ্গাতেই এক ব্যক্তিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেছিল জনতা। চুরির অভিযোগে ফের আইন হাতে নেওয়া প্রসঙ্গে পুলিশের বক্তব্য, এ দিনের মারধরের ঘটনায় কারা যুক্ত ছিল, তা দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement