গাইঘাটার যুবকের দেহ নিয়ে অবরোধ  

ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল গাইঘাটার যুবক উত্তম সানার (৩২)। তাঁর পরিবারের দাবি, খুন হয়েছেন উত্তম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গাইঘাটা শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:২৩
Share:

দেহ নিেয় চলছে অবরোধ। নিজস্ব চিত্র

ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল গাইঘাটার যুবক উত্তম সানার (৩২)। তাঁর পরিবারের দাবি, খুন হয়েছেন উত্তম। তাঁর খুনের উপযুক্ত তদন্তের দাবিতে তাঁর দেহ নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকাবাসী। ছিলেন মৃতের পরিবারও।

Advertisement

সোমবার সকালে গাইঘাটার চাঁদপাড়া বাজার এলাকার ঘটনা। রবিবার রাতে ওড়িশা থেকে উত্তমের দেহ নিয়ে গাইঘাটার ধানকুনি এলাকায় তাঁর বাড়িতে পৌঁছন আত্মীয়েরা। সোমবার সকাল ১০টা থেকে মহিলাদের নেতৃত্বে কয়েকশো মানুষ চাঁদপাড়া এলাকায় যশোর রোডে দেহ রেখে অবরোধ শুরু করেন। উত্তমের স্ত্রী রূপা তাঁর দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে স্বামীর দেহের কাছে বসে থাকেন। গাইঘাটা থানা থেকে পুলিশ এসে অবরোধ তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের ধস্তাধস্তি বাধে। অবরোধকারী মহিলাদের দাবি, পুলিশকে খুনের অভিযোগ নিতে হবে এবং উপযুক্ত তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ওড়িশার রৌরকেল্লা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে রাজগণপুর এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে উত্তমের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে জিআরপি। প্রাথমিক তদন্তের পর জিআরপি গাইঘাটা থানার পুলিশকে জানায়, ট্রেনের ধাক্কায় উত্তমের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তম গুজরাতের সুরাতে নির্মাণকর্মীর কাজ করতেন। অক্টোবর মাসে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার তিনি বাড়ি ফিরবেন বলে গুজরাত থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন।

অবরোধের জেরে যশোর রোডে যানজট হয়। দু’ঘণ্টা পরে পুলিশ অভিযোগ নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। পুলিশের কাছে রূপা লিখিত অভিযোগে জানান, স্বামীকে মেরে ফেলা হয়েছে। দোষীদের শাস্তি চাই। প্রয়োজনে সিআইডি ঘটনার তদন্ত করুক।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করা হয়েছে। ওড়িশার রাজগণপুর জিআরপি থানায় সেটি পাঠিয়েও দেওয়া হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন