Bakultala Murder Case

‘এখনও খুনিরা ধরা পড়ল না কেন?’ বকুলতলা কাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে রাস্তা অবরোধ, উত্তেজনা

গত সোমবার মৃত্যু হয়েছে বকুলতলা থানার বুইচবাটি গ্রামের বাসিন্দা সায়েম আলি খানের। ওই ঘটনায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় থানায়। কিন্তু এখনও অভিযুক্তদের অনেকে অধরা বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫ ১৩:৫৯
Share:

রাস্তা অবরোধ বকুলতলায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলায় খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত এলাকা। সায়েম আলি খানের খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে কাঠের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করলেন স্থানীয়েরা। তাঁদের অভিযোগ, খুনের ঘটনার পর দু’দিন কেটে যাওয়ার পরেও সকল অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি পুলিশ।

Advertisement

বুধবার ওই অবরোধ তুলতে গিয়ে জনতার ক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিশকর্মীরা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্থানীয়দের অভিযোগ, বার বার আবেদন করার পরেও ‘ঠিকঠাক’ পদক্ষেপ করা হচ্ছে না।

গত সোমবার মৃত্যু হয়েছে বকুলতলা থানার বুইচবাটি গ্রামের বাসিন্দা সায়েমের। অভিযোগ, গত রবিবার রাতে কয়েক জন যুবক তাঁর বাড়ির পাশে মত্ত অবস্থায় গালিগালাজ করছিলেন। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করতেই হামলার শিকার হন এলাকার বেশ কয়েক জন। এমনকি, বোমাবাজিও হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

দুই দফায় ওই গন্ডগোল হয়। প্রথম হামলার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগে সোমবার সকালে আবার হামলা চালানো হয়। তাতে যে তিন জন গুরুতর জখম হন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন সায়েম। প্রথমে নীমপিঠ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানেই মৃত্যু হয় যুবকের। ওই ঘটনায় বকুলতলা থানায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তার পরেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ‘আন্দোলন’ করার জন্য তাঁদের হুমকি দিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে সকালে তারানগর থেকে কানকাটা মোড় পর্যন্ত রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। অবরোধকারীদের দাবি, অবিলম্বে পলাতক অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে এবং পুলিশকে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে হবে। না-হলে আরও বড় আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তাঁরা। অন্য দিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ বাহিনী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement