গন্ধ শুঁকে মদ্যপ ধরছে পুলিশ

দ্রুতগতিতে মোটর বাইক চালিয়ে বসিরহাট রবীন্দ্রভবনের দিক থেকে আসছিলেন এক যুবক। রাস্তার মাঝে তাঁর বাইক আটকাল পুলিশ। যুবকটি মোটরবাইকের নথি বের করলেন। কিন্তু সে সব কিছু না দেখে এক জন পুলিশ কর্মী ওই যুবকের মুখে একটি নল ঢুকিয়ে দিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:২১
Share:

চলছে পরীক্ষা। নিজস্ব চিত্র।

দ্রুতগতিতে মোটর বাইক চালিয়ে বসিরহাট রবীন্দ্রভবনের দিক থেকে আসছিলেন এক যুবক। রাস্তার মাঝে তাঁর বাইক আটকাল পুলিশ। যুবকটি মোটরবাইকের নথি বের করলেন। কিন্তু সে সব কিছু না দেখে এক জন পুলিশ কর্মী ওই যুবকের মুখে একটি নল ঢুকিয়ে দিলেন। কয়েক সেকেন্ড পরে নলটি পরীক্ষা করে ওই পুলিশ কর্মী জানিয়ে দিলেন, ‘‘ঠিক আছে। চলে যান।’’

Advertisement

নলটির পোশাকি নাম ‘ব্রিদ অ্যানালাইজার’। কেউ মদ্যপ কিনা, তা পরীক্ষা করাই ওই যন্ত্রের কাজ। পুলিশের ‘গন্ধ বিচারে’ মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে অনেকেই ধরা পড়ছেন। পুলিশ প্রচার করছে, কেউ মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে ধরা পড়লে তাঁর জেল এবং জরিমানা দু’টোই হতে পারে।

সাধু সাবধান

Advertisement

• ব্রিদ অ্যানালাইজার মেশিন আনার পরে গত একুশ দিনে প্রায় শ’দেড়েক চালককে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগে ধরা হয়েছে।

• মামলা হয়েছে ২০ জনের বিরুদ্ধে। ১০ গাড়ি আটক হয়েছে।

• এ ক্ষেত্রে জরিমানা হতে পারে। গাড়ি আটক করা হতে পারে। চালককে ব্যক্তিগত জামিনে ছাড়া
যেতে পারে।

বসিরহাট হল ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী শহর। দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জড়িয়ে রয়েছে এই শহরের সঙ্গে। পুলিশের দাবি, মদ্যপ অবস্থায় মোটরবাইক এবং গাড়ি চালানোর জন্যই বসিরহাটের বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই কেনা হয়েছে ‘ব্রিদ অ্যানালাইজার’ যন্ত্র। এ ছাড়া, বসিরহাটের ত্রিমোহনী, চৌমাথা, ময়লাখোলায় টাকি রোড এবং ইছামতীর ধারে বোটঘাটে ট্র্যাফিক পুলিশের হাতে দেওয়া হয়েছে অত্যাধুনিক ওয়াকিটকি। গাড়ির হাওয়া পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। অসামাজিক কাজ কমানো এবং অল্পবয়সীদের মধ্যে মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর প্রবণতা বন্ধ করতেই এই উদ্যোগ। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, রাতের বেলা কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের হাতে ‘ব্রিদ অ্যানালাইজার’ যন্ত্রটি দেওয়া হচ্ছে। গাড়ি থামিয়ে রুটিন কাগজপত্র দেখতে চাওয়ার পাশাপাশি চালককে এই যন্ত্রে ফুঁ দিতে বলা হচ্ছে। যন্ত্রের কাঁটা নির্দিষ্ট ঘর পার হলেই সংশ্লিষ্ট চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।পুলিশের এই উদ্যোগে খুশি বসিরহাট শহরের বাসিন্দারা। তবে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচি শুরুর সময়েও বসিরহাটের নানা প্রান্তে ধরপাকড় চালিয়েছিল পুলিশ। হেলমেট ছাড়া মোটরবাইকের তেল দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ যাওয়ার পরেই সব থিতিয়ে গিয়েছে। বসিরহাটবাসীর একাংশের প্রশ্ন, দিন কয়েক পরে এই কর্মসূচির অবস্থাও সে রকম হবে না তো?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন