ক়ড়া-হাতে: সক্রিয় ক্যানিং পুলিশ। প্রসেনজিৎ সাহা
গত কয়েক দিন ধরে ক্যানিংয়ের আমজনতাকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করেছেন পুলিশকর্মীরা। বিভিন্ন বাজার এলাকায় মাইকে প্রচার হচ্ছে। কিন্তু কিছু মানুষের ‘থোড়াই কেয়ার’ মনোভাব। বুধবার সকাল থেকে এই সব মানুষের জন্য কড়া দাওয়াই নিয়ে এল পুলিশ। মাস্ক ছাড়া রাস্তায়, দোকান, বাজারে কাউকে দেখলে মৃদু লাঠিপেটা করেছে পুলিশ।
গত কয়েক দিনে ক্যানিংয়ে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে দ্রুত গতিতে। মহকুমায় ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পাঁচশো। একমাত্র কোভিড হাসপাতালের প্রায় সমস্ত শয্যাই ভর্তি। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ আরও বাড়লে তা সামলানো মুশকিল হবে।
কিন্তু বহু প্রচারেও সকলের মধ্যে সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে বুধবার সকাল ১১টা থেকে লাঠি হাতে রাস্তায় নামেন পুলিশকর্মীরা। কিছু মানুষকে নিজের গায়ের জামা খুলিয়ে তা মুখে বাঁধিয়ে শাস্তি দিয়েছেন। মাস্ক বিলিও করা হয়েছে। সচেতনতায় ঢিলেমি দেখলে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রয়োজনে গ্রেফতার করা হতে পারে। জরিমানাও হতে পারে।
ক্যানিংয়ের বাসিন্দা দীপক হালদার, ফারুক সর্দাররা বলেন, ‘‘যাঁরা মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোচ্ছেন, তাঁরা নিজেদের তো বটেই, সমাজেরও ক্ষতি করছেন। পুলিশের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।”
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই বাসিন্দাদের সচেতন করতে গত কয়েক দিন ধরে সুন্দরবন পুলিশ জেলার তরফে কাকদ্বীপ বাজারে-সহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় টহলদারি চলছে। করোনা-সচেতনতা নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ। কাকদ্বীপ মহকুমা পুলিশ অফিসার অনিলকুমার রায় বলেন, ‘‘মানুষ এমনিতেই বিপদের মধ্যে রয়েছেন। ফের প্রাণহানির মতো ঘটনা না ঘটে, সে জন্য প্রতিটি মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। সুন্দরবন পুলিশ জেলায় সমস্ত থানা এলাকায় ব্যবসায়ী থেকে ভ্যান চালক, বাস চালক, বাস যাত্রীদের মাস্ক পরার জন্য বলা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি, একশো শতাংশ মানুষ সুস্থ থাকুন।’’