তরুণী চিকিৎসকের বান্ধবী। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
তুমি কি ৩০ জনের জন্য রান্না করতে পারবে? তরুণী চিকিৎসক তথা ভবিষ্যতের শল্য চিকিৎসকের বিয়ের দেখাশোনার সময় তেমনটাই প্রশ্ন করল পাত্রের পরিবার। আর তা নিয়ে সরব হলেন চিকিৎসকের এক বান্ধবী। বিষয়টিকে পাত্রপক্ষের ‘বিষাক্ত প্রত্যাশা’ বলে মন্তব্য করে সমাজমাধ্যমে সেই নিয়ে একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন তিনি। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। হইচইও পড়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
দেখাশোনা করে বিয়ের ক্ষেত্রে প্রায়শই পাত্র বা পাত্রীপক্ষের অযৌক্তিক এবং অবাস্তব প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় অপরপক্ষকে। সমাজমাধ্যমে এক জন তরুণী সেই বিষয়টিই তুলে ধরেছেন। পোস্ট দিয়ে তিনটি পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ওই মহিলা জানিয়েছেন, দেখাশোনা করে বিয়ের সম্বন্ধ করতে গিয়ে তাঁর এক চিকিৎসক বান্ধবী সেই পরিস্থিতির শিকার হয়েছন। তরুণী সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, তাঁর ওই চিকিৎসক বান্ধবী শীঘ্রই এক জন হৃদ্যন্ত্র বিশেষজ্ঞ শল্যচিকিৎসক হতে চলেছেন। সম্প্রতি তাঁর দেখাশোনা করে বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। বান্ধবীর দাবি, তরুণী চিকিৎসককে দেখতে যে পরিবার এসেছিল, তাদের এক সদস্য জিজ্ঞাসা করেন যে, ভবিষ্যতে ওই চিকিৎসক ৩০ জনের জন্য রান্না করতে পারবেন কি না। কারণ, তাঁদের ছেলে রান্না বা গৃহস্থালীর অন্যান্য কাজ সম্পর্কে কিছুই জানে না।
এর আগে অন্য এক পাত্রের পরিবার আবার সম্বন্ধ ভেঙে চলে যান। কারণ, চিকিৎসক জানিয়েছিলেন একমাত্র সন্তান হওয়ায় ভবিষ্যতে তিনি তাঁর মা-বাবার দেখাশোনা করতে চান। তৃতীয় পরিবার নাকি তরুণী চিকিৎসকের শরীরে থাকা একটি ট্যাটু নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সম্বন্ধ ভাঙেন। আর সেই তিনটি ঘটনা নিয়েই সমাজমাধ্যমে সরব তরুণী চিকিৎসকের বান্ধবী। ইনস্টাগ্রামে সে নিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন তরুণী। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘নিধি_রাঠি.১৫’ নামের একটি ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। ভিডিয়োটি দেখে নেটাগরিকদের অনেকে যেমন বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, তেমনই আবার ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন অনেকে। এক নেটাগরিক ভিডিয়োটি দেখার পর লিখেছেন, ‘‘তরুণী চিকিৎসকে বিয়ে না করা মানে ওদেরই ক্ষতি। এমন পাত্রদের বিয়ে করার থেকে সারাজীবন একা থাকা ভাল।’’