পুলিশ পিটিয়ে বন্দিকে ছিনতাই

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার  তখন ভোর ৪টে। হেয়ার স্ট্রিট ও গোপালনগর থানার পুলিশের দু’টি গাড়ি এসে থামে কালাম তরফদারের বাড়ির সামনে। সুদৃশ্য দোতলা বাড়ি। ঢোকার মুখে গ্রিলের গেটে তালা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোপালনগর শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৭ ০৭:৩০
Share:

এখানে গিয়েই আক্রান্ত পুলিশ। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

পুলিশকে পিটিয়ে ধৃতকে ছিনিয়ে গেল জনতা।

Advertisement

শনিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের মোঝডোব গ্রামে। হেয়ার স্ট্রিট থানার এক মহিলা সাব ইন্সপেক্টর, এক কনস্টেবল গুরুতর জখম অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশের একটি গাড়়িতে ভাঙচুর চলে। নারী পাচারের অভিযোগে ধৃত একজনকে পুলিশের হেফাজত থেকে ছিনিয়েও নিয়ে যায় জনতা। তার খোঁজ মেলেনি। তবে পুলিশের উপরে হামলার অভিযোগে তিন মহিলা-সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার তখন ভোর ৪টে। হেয়ার স্ট্রিট ও গোপালনগর থানার পুলিশের দু’টি গাড়ি এসে থামে কালাম তরফদারের বাড়ির সামনে। সুদৃশ্য দোতলা বাড়ি। ঢোকার মুখে গ্রিলের গেটে তালা। বাইরে থেকে বিস্তর ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ না মেলায় পুলিশ কর্মীরা গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন।

Advertisement

হঠাৎই হাজির হয় জনা পঞ্চাশ মহিলা-পুরুষ। পুলিশ কর্মীদের ঘিরে শুরু হয় মারধর। পুলিশ জানিয়েছে, জখম পুলিশ কর্মীদের নাম শ্রাবন্তী ঘোষ ও অজিত স্বর্ণকার। খবর পেয়ে বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায়ের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ও র‍্যাফ গ্রামে তল্লাশি চালাচ্ছে। পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। গ্রাম আপাতত পুরুষশূন্য।

বুধবার দুপুরে লালবাজারের সামনে নিউ ব্যারাকপুর-হাওড়া রুটের একটি মিনিবাস থেকে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ গোলাম মোস্তাফা মণ্ডল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। অভিযোগ, ঢাকার বাসিন্দা এক নাবালিকাকে নাগপুরে পাচারের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল সে। কথাবার্তা শুনে সন্দেহ হয় এক সহযাত্রীর। তিনি বাসের কর্মীদের সহযোগিতায় বাস থামিয়ে ওই মেয়েটি এবং গোলামকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক গোলামকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তাকে জেরা করে পুলিশ ইবাদুল্লা তরফদার ও হাসিনা মণ্ডল নামে আরও দু’জনকে ধরে। তাদের জেরা করে খোঁজ মেলে নারী পাচারে জড়িত কালাম তরফদারের। তার খোঁজেই গোলামকে নিয়ে পুলিশ শনিবার ভোরে গিয়েছিল মাঝডোব গ্রামের বাড়িতে।

জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তিই ফোন করে লোক জড়ো করে। পরে বাইকে করে গ্রাম ছেড়ে পালায়। গোলামকে স্থানীয় বাসিন্দারা গ্রামের গড়াইল নদী সাঁতরে পালিয়ে যেতে দেখেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কালামের দশ চাকার ট্রাক রয়েছে। গোলাম মাঝে মধ্যে সেই ট্রাক চালায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন