Police

অসুস্থ বৃদ্ধা ভবঘুরের পাশে পুলিশ

বসিরহাটের মাটিয়ার বছর সত্তরের লক্ষ্মী চক্রবর্তী তিন দিন আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন। তার পর থেকে খোঁজ মিলছিল না তাঁর।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২০ ০৬:১৫
Share:

লক্ষ্মী চক্রবর্তী

লকডাউনের ফলে বন্ধ যানবাহন-দোকানপাট। তার ফলে সমস্যায় পড়ছেন অনেকেই। কিন্তু যাঁরা সহায় সম্বলহীন, তাদের সমস্যা বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ। তবে অনেক জায়গায় তাঁদের সহায় হচ্ছে পুলিশ। সোনারপুরে প্রসূতিকে নিজেদের গাড়িতে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছে। এ বার বসিরহাটেও অসুস্থ বৃদ্ধা এবং এক ভবঘুরের সহায় হল পুলিশ। বৃদ্ধাকে বাড়িতে এবং অসুস্থ ভবঘুরেকে রাস্তা থেকে তুলে হাসপাতালে পৌঁছে দিল পুলিশ।

Advertisement

বসিরহাটের মাটিয়ার বছর সত্তরের লক্ষ্মী চক্রবর্তী তিন দিন আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন। তার পর থেকে খোঁজ মিলছিল না তাঁর। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি কোনও ভাবে বসিরহাটে পৌঁছে যান। পড়ে গিয়ে চোটও পান। বুধবার সন্ধ্যায় ইটিন্ডায় রাস্তার ধারে পড়ে তাঁকে গোঙাতে দেখে টহলদার পুলিশকর্মীরা। রাস্তা দিয়ে যানবাহন না চলায় তাঁকে দেখতে পাননি কেউ। পুলিশ কর্মীরা উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। হাসপাতাল থেকে ফের বেরিয়ে পড়েন ওই বৃদ্ধা। বসিরহাটের ইছামতী নদীর কাছে বোটঘাটে দোকানের গলির মধ্যে তাঁকে শুয়ে থাকতে দেখেন পুলিশকর্মী বিপ্লব দে। তিনি বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলে তাঁর ঠিকানা জানতে পারেন। তিনিই বৃদ্ধার পোশাক এবং খাবারের ব্যবস্থা করেন। পরে একটি অটো ভাড়া করে বৃদ্ধাকে তাঁর দিদির বাড়ি মাটিয়ায় পৌঁছে দেন। বোনকে দেখে ফিরে পেয়ে খুশি তাঁর দিদি সীতা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘মাঝে মধ্যেই বোন বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে। পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। হাসনাবাদেও সুনসান রাস্তায় পড়েছিলেন এক ভবঘুরে। বুধবার রাতে হাসনাবাদের বিডিও অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের কাছে ফোন করে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, বনবিবি সেতুর নীচে এক অসুস্থ ব্যক্তি পড়ে রয়েছেন। অরিন্দমবাবু তাঁর অফিসের এক কর্মীকে ঘটনাস্থলে পাঠান। ওই কর্মী গিয়ে দেখেন বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি সেতুর নীচে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তার পায়ে গভীর ক্ষত। পরে জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম হারান মণ্ডল। অ্যাম্বুল্যান্স বা গাড়ি না পেয়ে স্থানীয় এক জনের মোটরবাইকে করে তাঁকে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন রাত ১০টা। হারানের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হারানের বাড়ি হাসনাবাদ থানার ট্যাংরামারি গ্রামে। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন কোনও যোগাযোগ নেই। পথেঘাটেই দিন কাটে তাঁর। ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, তাঁর চিকিৎসার খরচ তারাই দেবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন