Canning

বড়দিনে উপহার বিলিয়ে ‘সান্তা’ পুলিশ কর্মীরাই

ক্যানিং থানার আধিকারিকেরা এসডিপিও দিবাকর দাসের নেতৃত্বে বড়দিনের আগের রাতে ভবুরেদের উপহার দেন। দিবাকর ছাড়াও এ বার ছিলেন আইসি সৌগত ঘোষ, মহিলা থানার ওসি তনুশ্রী মণ্ডলেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডায়মন্ড হারবার, ক্যানিং শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৪১
Share:

পাশে আছি: ক্যানিং স্টেশনে সান্তার সাজে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

বড়দিনের আগের রাতে ‘পুলিশবাবুদের’ অপেক্ষা করেন ওঁরা। ক্যানিং এলাকার ভবঘুরেদের জন্য তাঁরাই হলেন ‘সান্তাক্লজ।’ লাল টুপি পরে কেক, কম্বল নিয়ে হাজির হন পুলিশকর্মীরা। শনিবার রাতেও ক্যানিং থানার পুলিশ সান্তার বেশে স্টেশন চত্বরে হাজির হয়েছিল। ২০২০ সালে ক্যানিং থানার তৎকালীন আইসি আতিবুর রহমান, এসআই লিটন হালদারদের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল এই কাজ। গত বছরও ক্যানিং থানার আধিকারিকেরা এসডিপিও দিবাকর দাসের নেতৃত্বে বড়দিনের আগের রাতে ভবুরেদের উপহার দেন। দিবাকর ছাড়াও এ বার ছিলেন আইসি সৌগত ঘোষ, মহিলা থানার ওসি তনুশ্রী মণ্ডলেরা। স্টেশনে ঠাঁই নেওয়া লক্ষ্মী, চন্দনারা বলেন, জানালেন, ‘পুলিশ বাবুরা’ আসবেন বলে অপেক্ষা করেছিলেন তাঁরা। কেউ ঘুমিয়ে পড়েননি। এসডিপিও বলেন, ‘‘বড়দিন মানেই খুশির দিন। যাতে সকলে ভাল থাকেন, আনন্দে থাকেন, সে কারণেই এই ভবঘুরে গৃহহীন মানুষদের একটু উপহার তুলে দিলাম।’’ আইসি জানান, তিনি পুরুলিয়ায় থাকাকালীন সেখানেও এ ধরনের উদ্যোগ নিতেন। অন্য দিকে, বড়দিনে ইটভাটা শ্রমিক ও তাদের শিশুদের কেক, চকোলেট বিলি করলেন ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুনকুমার দে। রবিবার সকালে ডায়মন্ড হারবারের আব্দালপুর গ্রামে যান পুলিশ আধিকারিক। ছোটদের নতুন জামাও দেন। এসডিপিও বলেন, ‘‘সকলের সঙ্গে উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন