Hingalganj

মেয়ে-নাতনিকে দেহ মাটিতে  পুঁতে ফেলতে দেখেন বিমল

এই ঘটনার পিছনে আর কারও হাত আছে কিনা তা জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।  

Advertisement

নির্মল বসু 

হিঙ্গলগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৭:৪৬
Share:

পাকড়াও: গ্রেফতার হয়েছে মা-মেয়ে। ফাইল চিত্র।

বিপদ আঁচ করে মেয়ে, নাতনিকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়েছিলেন বৃদ্ধ। নদীর পাড়ে গিয়ে দেখেন, গৃহ সহায়িকাকে নদীর পাড়ে পুঁতে ফেলার চেষ্টা করছে তাঁর মেয়ে এবং নাতনি। চিৎকার করে লোকজন জড়ো করেন বৃদ্ধ। ধরা পড়ে তাঁর মেয়ে-নাতনি। কিন্তু শেষমেশ বাঁচানো যায়নি গৃহ সহায়িকাকে।

Advertisement

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, কাজকর্ম নিয়ে কোনও সমস্যার অজুহাতে মারধর করা হয় সুচিত্রা গায়েন নামে ওই মহিলাকে। তিনি এমনিতেই অসুস্থ ছিলেন। অভিযোগ, তাঁর গলা টিপে ধরে প্রথমে খালের জলে চোবায় মমতা বৈদ্য ও তার বিবাহিত মেয়ে তুলসী মণ্ডল। অর্ধমৃত অবস্থায় সুচিত্রাকে নদীর চরে পুঁতে ফেলার চেষ্টা করে তারা।

সোমবার দুপুরের এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন সুচিত্রাকে। তবে বাঁচানো যায়নি। হিঙ্গলগঞ্জের আমবেড়িয়া গ্রামের এই ঘটনায় ধৃত মমতা-তুলসীকে বৃহস্পতিবার বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের তিন দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
আমবেড়িয়ার গ্রামের মধ্যে দিয়ে চলে গিয়েছে খাল। তার পাড়ে বাড়ি মকিন্দ্র বৈদ্যের। কাজের প্রয়োজনে তিনি এখন গুজরাতে। তাঁর মেয়ে তুলসী বিয়ের পরে স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকে। এলাকাবাসীদের দাবি, সামান্য ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে পড়া মমতার স্বভাব। এ জন্য প্রতিবেশীদের অধিকাংশের সঙ্গে বিশেষ সদ্ভাব নেই।

Advertisement

পুলিশ জানতে পেরেছে, কাজে সামান্য ত্রুটি হলেই মা-মেয়ে সুচিত্রাকে গালিগালাজ করত, মারধর করত। তবে মমতার বাবা বিমল বৈদ্য অসহায় সুচিত্রাকে ভালবাসতেন। একবার মার খেয়ে দুলদুলি মঠবাড়ি পঞ্চায়েতের পুঁটিয়ারচক গ্রামের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন সুচিত্রা। তাঁকে ফিরিয়ে আনতে গিয়ে বিমল বলেছিলেন, সুচিত্রা আমার মেয়ে। ওকে মেয়ের মতোই যত্ন করে রাখব।

ঘটনার সময়ে বাড়ি ছিলেন না তিনি। ফিরে এসে সুচিত্রা এবং তাঁর মেয়ে-নাতনিকে দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয় বিমলের। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, একটা নৌকো নিয়ে তারা গিয়েছে নদীর দিকে। তিনিও সে দিকে দৌড়োন।

বিমলের কথায়, ‘‘গিয়ে দেখি, মমতা আর তুলসী মিলে সুচিত্রাকে নদীর চরে পুঁতে ফেলার চেষ্টা করছে। তা দেখে লোকজনকে ডেকে পুলিশকে খবর দিই।’’
সুচিত্রার খুড়তুতো ভাই জগদীশ গায়েন বলেন, ‘‘বোনকে খুবই ভালবাসতেন বিমলবাবু। ওকে মারধর করলে তিনি সহ্য করতে পারতেন না। প্রতিবাদ করতেন।’’

বৃহস্পতিবার আদালতের পথে মমতা বলে, ‘‘সামান্য একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কির সময়ে হঠাৎ খালের জলে লাফ মারে সুচিত্রা। ওকে বাঁচাতে জলে নামি। ওর মৃত্যু হয়েছে মনে করে ভয়ে দেহ নদীর চরে পুঁতে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’’

এই ঘটনার পিছনে আর কারও হাত আছে কিনা তা জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।

বিপদ আঁচ করে মেয়ে, নাতনিকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়েছিলেন বৃদ্ধ। নদীর পাড়ে গিয়ে দেখেন, গৃহ সহায়িকাকে নদীর পাড়ে পুঁতে ফেলার চেষ্টা করছে তাঁর মেয়ে এবং নাতনি। চিৎকার করে লোকজন জড়ো করেন বৃদ্ধ। ধরা পড়ে তাঁর মেয়ে-নাতনি। কিন্তু শেষমেশ বাঁচানো যায়নি গৃহ সহায়িকাকে।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, কাজকর্ম নিয়ে কোনও সমস্যার অজুহাতে মারধর করা হয় সুচিত্রা গায়েন নামে ওই মহিলাকে। তিনি এমনিতেই অসুস্থ ছিলেন। অভিযোগ, তাঁর গলা টিপে ধরে প্রথমে খালের জলে চোবায় মমতা বৈদ্য ও তার বিবাহিত মেয়ে তুলসী মণ্ডল। অর্ধমৃত অবস্থায় সুচিত্রাকে নদীর চরে পুঁতে ফেলার চেষ্টা করে তারা।

সোমবার দুপুরের এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন সুচিত্রাকে। তবে বাঁচানো যায়নি। হিঙ্গলগঞ্জের আমবেড়িয়া গ্রামের এই ঘটনায় ধৃত মমতা-তুলসীকে বৃহস্পতিবার বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের তিন দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

আমবেড়িয়ার গ্রামের মধ্যে দিয়ে চলে গিয়েছে খাল। তার পাড়ে বাড়ি মকিন্দ্র বৈদ্যের। কাজের প্রয়োজনে তিনি এখন গুজরাতে। তাঁর মেয়ে তুলসী বিয়ের পরে স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকে। এলাকাবাসীদের দাবি, সামান্য ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে পড়া মমতার স্বভাব। এ জন্য প্রতিবেশীদের অধিকাংশের সঙ্গে বিশেষ সদ্ভাব নেই।

পুলিশ জানতে পেরেছে, কাজে সামান্য ত্রুটি হলেই মা-মেয়ে সুচিত্রাকে গালিগালাজ করত, মারধর করত। তবে মমতার বাবা বিমল বৈদ্য অসহায় সুচিত্রাকে ভালবাসতেন। একবার মার খেয়ে দুলদুলি মঠবাড়ি পঞ্চায়েতের পুঁটিয়ারচক গ্রামের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন সুচিত্রা। তাঁকে ফিরিয়ে আনতে গিয়ে বিমল বলেছিলেন, সুচিত্রা আমার মেয়ে। ওকে মেয়ের মতোই যত্ন করে রাখব।

ঘটনার সময়ে বাড়ি ছিলেন না তিনি। ফিরে এসে সুচিত্রা এবং তাঁর মেয়ে-নাতনিকে দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয় বিমলের। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, একটা নৌকো নিয়ে তারা গিয়েছে নদীর দিকে। তিনিও সে দিকে দৌড়োন।

বিমলের কথায়, ‘‘গিয়ে দেখি, মমতা আর তুলসী মিলে সুচিত্রাকে নদীর চরে পুঁতে ফেলার চেষ্টা করছে। তা দেখে লোকজনকে ডেকে পুলিশকে খবর দিই।’’

সুচিত্রার খুড়তুতো ভাই জগদীশ গায়েন বলেন, ‘‘বোনকে খুবই ভালবাসতেন বিমলবাবু। ওকে মারধর করলে তিনি সহ্য করতে পারতেন না। প্রতিবাদ করতেন।’’

বৃহস্পতিবার আদালতের পথে মমতা বলে, ‘‘সামান্য একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কির সময়ে হঠাৎ খালের জলে লাফ মারে সুচিত্রা। ওকে বাঁচাতে জলে নামি। ওর মৃত্যু হয়েছে মনে করে ভয়ে দেহ নদীর চরে পুঁতে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’’

এই ঘটনার পিছনে আর কারও হাত আছে কিনা তা জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন