Deadbody Recovered

একাদশীর সকালে বারুইপুরে উদ্ধার যুবকের গলাকাটা দেহ! পাশে মিলল ঠান্ডা পানীয়, মদের বোতলও

পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। কী ভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ওই যুবককে খুন করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৫ ১০:১৪
Share:

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানা এলাকায় উদ্ধার অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের দেহ। —প্রতীকী চিত্র।

শুক্রবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানা এলাকায় উদ্ধার হল এক যুবকের গলাকাটা দেহ। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার এক পাশে পড়ে ছিল দেহটি। যুবকের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে তাঁর দেহের পাশেই পড়ে ছিল ঠান্ডা পানীয়ের বোতল। এ ছাড়া মদের বোতলের ভাঙা অংশ, প্লাস্টিকের গ্লাসও পড়ে ছিল সেখানে।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার অন্তর্গত বেগমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬০ কলোনি এলাকায় একটি কাঠের সাঁকোর কাছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং অন্য পথচলতি মানুষেরাই প্রথমে বিষয়টি দেখতে পান। দশমীর পরের সকালেই এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের দেহ উদ্ধারের খবর চাউর হতেই ভিড় জমে যায় রাস্তায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। কী ভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ওই যুবককে খুন করা হয়েছে। দেহ উদ্ধারের পরে ইতিমধ্যে এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছে পুলিশ।

ওই যুবকের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি তাঁকে খুন করা হয়েছে কি না, বা এই ঘটনার সঙ্গে কেউ জড়িত রয়েছেন কি না— সে সব বিষয়ও তদন্তের আওতায় রাখা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছোনোর পরে আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

এলাকাবাসীদের একাংশ এই ঘটনার জন্য নজরদারির অভাবের দিকেও আঙুল তুলছেন। তাঁদের অভিযোগ, সন্ধ্যার পড়ে ওই রাস্তায় খুব বেশি লোকজনের আনাগোনা থাকে না। প্রায়শই ওই সময় নির্জন রাস্তার ধারে মদের আসর বসে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। তাঁদের বক্তব্য, রাস্তার ওই অংশে মাঝেমধ্যেই অচেনা যুবকদের আনাগোনা লেগে থাকে। অনেকে ক্ষেত্রে রাত পর্যন্ত মদ্যপানও চলে বলে অভিযোগ তাঁদের। এ অবস্থায় পুলিশ-প্রশাসনের তরফে নজরদারি বৃদ্ধি না-করলে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement