(ডান দিকে) ভোলা ঘোষের বাড়ির সামনে পুলিশি পাহারা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
নিরাপত্তা দেওয়া হল ভোলা ঘোষের বাড়িতে। রবিবার সকালে তাঁর বাড়ির সামনে বেশ কয়েক জন পুলিশকে দেখা গেল পাহারায়। তাঁর গাড়িতে ধাক্কার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন ভোলা। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ভবিষ্যতেও তাঁকে হত্যা করা হতে পারে। তার পরেই তাঁর বাড়ির সামনে নিরাপত্তা দিল স্থানীয় প্রশাসন।
বুধবার সকালে ভোলার চার চাকার গাড়ি বাসন্তী হাইওয়েতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে পড়ে গাড়িটি। লরিটিও জলে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গাড়িচালক এবং ভোলার কনিষ্ঠ পুত্রের। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন ভোলাও।
সন্দেশখালির শাহজাহান শেখের মামলায় অন্যতম সাক্ষী ভোলা। তাঁর অভিযোগ, সেই কারণে তাঁকে খুন করার ছক কষা হয়েছিল। ভোলার বড় ছেলের দাবি, শাহজাহানের বিরুদ্ধে যাতে সাক্ষী দিতে না-পারেন তাই তাঁর বাবাকে খুন করার চেষ্টা হয়। দুর্ঘটনায় ছোট ছেলেকে হারিয়েছেন ভোলা।
বুধবারের ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাজবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন ভোলা। তার ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। তিনি এবং তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে ‘পরিকল্পিত ভাবেই খুন’ করা হয়েছে তাঁর সহযাত্রী পুত্র এবং গাড়ির চালককে।
শনিবার এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করে ন্যাজাট থানার পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন উত্তম সর্দার ওরফে সুশান্ত। গত বছর শাহজাহানের বাড়িতে ইডির উপর হামলার অভিযোগে সে সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়াও, রুহুল কুদ্দুস শেখ নামে আরও এক জনকে ধরেছে পুলিশ।
বাড়ির সামনে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার পরেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভোলা। তাঁর দাবি, ঘাতক ট্রাকের চালক-সহ যাঁদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁরা এখনও গ্রেফতার হননি। তাই আতঙ্ক কাটছে না ভোলার।