জল জমে বিপত্তি, অবরোধ

শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ চাঁপাবেড়িয়ার এক মাইল পোস্ট এলাকায় বনগাঁ-চাকদহ সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করা হয়। যানজটে নাকাল হন অনেকে। ঘণ্টাখানেক পরে বনগাঁ থানার আইসি সতীনাথ চট্টরাজ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তোলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৭ ০২:৫৫
Share:

বিক্ষোভ: বনগাঁ-চাকদহ সড়কে। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

এলাকায় জল জমেছে। তারই প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বনগাঁর চাঁপাবেড়িয়ার মহিলারা।

Advertisement

শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ চাঁপাবেড়িয়ার এক মাইল পোস্ট এলাকায় বনগাঁ-চাকদহ সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করা হয়। যানজটে নাকাল হন অনেকে। ঘণ্টাখানেক পরে বনগাঁ থানার আইসি সতীনাথ চট্টরাজ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তোলেন।

ষাট বছর পেরিয়ে গিয়েছে বনগাঁ পুরসভার বয়স। কিন্তু শহরে এখনও পর্যন্ত পরিকল্পিত নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। বামেদের সময়েও যে হাল ছিল, তৃণমূলের সময়ও তাই আছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। স্থানীয় চাঁপাবেড়িয়া ও ঠাকুরপল্লি এলাকাও তার ব্যতিক্রম নয়। এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, বাড়ির উঠোনে জল থই থই করছে। কোনও কোনও বাড়ির বারান্দাতেও জল উঠে গিয়েছে। বৃষ্টির ওই জমা জল পেরিয়েই সাধারণ মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

Advertisement

অবরোধকারীরা জানান, প্রতি বছর বৃষ্টিতে এলাকায় জল জমে। সেই জল সরতে বেশ কয়েক দিন সময় লাগে। পাশের ঠাকুরপল্লি এলাকায় একটি কালভার্টের নীচে থাকা নিকাশি নালা দিয়ে জমা জল বের হয়। অভিযোগ, দিন কয়েক আগে সিমেন্ট দিয়ে ওই নালার মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন ঠাকুরপল্লি এলাকার লোকজন। ফলে জল বেরোচ্ছে না। এ দিন সকালে চাঁপাবেড়িয়ার লোকজন ওই নিকাশি নালার মুখ ভাঙতে গেলে ঠাকুরপল্লি এলাকার বাসিন্দারা বাধা দেন। তারপরেই সড়ক অবরোধ করেন চাঁপাবেড়িয়ার মানুষ।

ঠাকুরপল্লি এলাকাটি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। সেখানকার বাসিন্দা বিদ্যুৎকুমার মল্লিক, অমিতাভ দাস, রাজর্ষি সিকদার, সমীরণ রায়রা জানান, তাঁদের এলাকাও বৃষ্টির জলে ভেসে যায়। হাঁটু সমান জল হয়। সেই জল থেকে যায় কয়েক মাস। পুজোর সময়ে জুতো হাতে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরোতে হয়। তার মধ্যে যদি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁপাবেড়িয়া এলাকার জল ঢোকে, তা হলে পরিস্থিতি ভয়ানক হয়। সে কারণে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে জানিয়েই নালার মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য বলেন, ‘‘দু’টি ওয়ার্ডের মানুষকে নিয়ে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানো হচ্ছে। আপাতত ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জমা জল পাইপ বসিয়ে বের করে দেওয়ার কাজ শুরু করা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement