Uttarakhand Disaster

Uttarakhand disaster: ‘টাকার অভাবে অনেক পর্যটক রাস্তায় রাত কাটিয়েছেন’

হাসনাবাদের বাসিন্দা অচিন্ত্য মণ্ডল, শাশ্বতী পাল, দিলীপ পাল, শেলি-সহ ১০ জন পর্যটক ১৭ তারিখ বদ্রীনাথ পৌঁছন। দলে দুই স্কুল পড়ুয়াও আছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাসনাবাদ শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২১ ০৬:৪০
Share:

ঝুঁকি: বদ্রীনাথ যাওয়ার পথে পর্যটকদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে পাহাড় থেকে পাথর খসে পড়ার এই ছবি।

উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়ে দুর্যোগে আটকে পড়েছেন হাসনাবাদের পর্যটকেরা। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তাঁরা। ১৯ তারিখ দুপুরে সেনাবাহিনীর ফোন থেকে বাড়িতে ফোন করেছেন। সকলে ভাল আছে বলে জানিয়েছেন।

Advertisement

হাসনাবাদের বাসিন্দা অচিন্ত্য মণ্ডল, শাশ্বতী পাল, দিলীপ পাল, শেলি-সহ ১০ জন পর্যটক ১৭ তারিখ বদ্রীনাথ পৌঁছন। দলে দুই স্কুল পড়ুয়াও আছে।

তাঁরা জানালেন, দুর্যোগ শুরু হওয়ার পরে ১৮ তারিখ থেকে ফোনে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। শুধু বিএসএনএলের নেটওয়ার্ক কাজ করছিল। সেটাও ১৯ তারিখের পর থেকে বন্ধ হয়ে যায়। পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। টিভির পর্দায় নজর রেখে চলছেন তাঁরা।

Advertisement

১৯ তারিখ দুপুরে সেনাবাহিনীর ফোন থেকে হাসনাবাদের বাড়িতে যোগাযোগ করতে পারেন কয়েকজ জন। শেলি বৃহস্পতিবার টেলিফোনে জানান, বদ্রীনাথে তাঁরা হোটেলবন্দি হয়ে পড়েছিলেন। অনেক বেশি টাকা খরচ করে খেতে হচ্ছিল। বিদ্যুৎ ছিল না। যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় মানসিক ভাবে সকলে ভেঙে পড়েন। ২১ তারিখ বদ্রীনাথ থেকে গাড়ি নিয়ে বেরোতে পেরেছেন বলে জানালেন। এরপরে ট্রেন ধরে ফেরার চেষ্টা করছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে টেলিফোনে শেলি বলেন, ‘‘কার্যত মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখলাম। বদ্রীনাথ থেকে আমাদের কেদারনাথ যাওয়ার কথা ছিল। তবে আর কিছু ভাল লাগছে না। যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি ফিরতে চাই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বদ্রীনাথ পৌঁছনোর সময়ে মানা নামে এক জায়গায় দেখি গাড়ির সামনে পাহাড় থেকে বড় বড় পাথর গড়িয়ে পড়ছে। সে এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা।’’

পর্যটক দলের আর এক সদস্য শাশ্বতী পাল বলেন, ‘‘আমরা অনেক জায়গায় হেড়াতে গিয়েছি। কিন্তু এরকম বিপদে কখনও পড়িনি। যখন হোটেলেবন্দি ছিলাম, তখন লোকের মুখে অনেক পর্যটকের মৃত্যুর খবর পাচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল, আমাদের হয় তো আর বাড়ি ফেরা হবে না। অনেক পর্যটককে দেখলাম, টাকা না থাকায় বৃষ্টির মধ্যে হোটেল ছেড়ে দিয়ে রাস্তায় দিন
কাটাচ্ছেন।’’

শাশ্বতীর বাবা মানিক পাল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘দুর্যোগের পরে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ফোনে খোঁজ মেলায় কিছুটা চিন্তামুক্ত হয়েছি। তবে ওরা বাড়িতে না আসা পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন