Baduria School Water Logged

জলমগ্ন স্কুল, বন্ধ পড়াশোনা

চরপাড়া কালীবাড়ি খাল, মেছোভেড়ি এবং ইটভাটাও সামনে। নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই স্কুল ঘিরে জল জমে যায়।

নির্মল বসু 

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫ ০৭:৪৬
Share:

জলে ডুবে আছে স্কুল চত্বর। নিজস্ব চিত্র ।

স্কুলে আসার রাস্তা এক সপ্তাহ ধরে একহাঁটু জলের তলায়। নোংরা জল জমে স্কুলের শৌচালয়, খেলার মাঠে। এই পরিস্থিতিতে পড়াশোনা লাটে উঠেছে বাদুড়িয়ার গণপুর উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কবে জল নামবে, ক্লাস শুরু হবে— উত্তর নেই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে।

বাদুড়িয়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তারাগুনিয়া এলাকার ওই স্কুলের সামনেই রয়েছে ইছামতী নদী।

চরপাড়া কালীবাড়ি খাল, মেছোভেড়ি এবং ইটভাটাও সামনে। নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই স্কুল ঘিরে জল জমে যায়।

প্রধান শিক্ষক আনন্দ ঘোষ বললেন, ‘‘নিকাশির অব্যবস্থার জন্য স্কুলের মাঠ, রাস্তা, শৌচালয়— সব জলমগ্ন। গত শনিবার কয়েক জন পড়ুয়া স্কুলে এলেও তারপর থেকে ছেলেমেয়েরা পেরিয়ে আসতে পারছে না। ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে।’’ মিডডে মিলের রান্নাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে জানালেন তিনি।

স্কুলে তিন জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, পড়ুয়া ৫১ জন। শিক্ষিকা অপর্ণা বিশ্বাস বলেন, ‘‘আগে কখনও এ ভাবে স্কুলের পিছন দিয়ে যাওয়া রাস্তা এবং বাচ্চাদের খেলার মাঠে জল জমতে দেখিনি। কলাগাছ কেটে খালের মধ্যে ফেলায় নিকাশি বেহাল। সে কারণেই স্কুলের মাঠ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।’’ অভিভাবক অশোক সরকার, অভিজিৎ রায়দের ক্ষোভ, ‘‘দুর্ঘটনার আশঙ্কায় আপাতত সন্তানদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। তা ছাড়া, নোংরা জল পেরিয়ে গিয়ে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।’’

নিকাশি সমস্যায় জেরবার আশপাশের বাসিন্দারাও। প্রতিমা মণ্ডল, জ়াহির গাজির অভিযোগ, ‘‘এখানে নদী ও খাল থাকা সত্ত্বেও জল নিকাশি না হওয়ায় বর্ষায় রাস্তা ডুবে যায়। ঘরে জল ঢুকে সমস্যায় পড়তে হয়। নীচে জল থাকায় খাটের উপরে সংসার নিয়ে থাকতে হয়।’’

ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুধাংশু মণ্ডল সমস্যার দায় নেননি। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘এই জলের জন্য আমরা দায়ী নই। আমি এক বার নদী ও খালের আবর্জনা সাফ করলেও কিছু মানুষ কলাগাছ কেটে খালে ফেলায় নিকাশির সমস্যা হচ্ছে।’’

কিন্তু এর সমাধান সূত্র কী? উত্তর নেই কারও কাছে। আপাতত কবে কড়া রোদ উঠবে, সে দিকেই তাকিয়ে বাসিন্দারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন