নজরে নিরাপত্তা

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়া থানার আয়তন ১০৪ বর্গ কিলোমিটার। ওই বিস্তৃত এলাকায় নজরদারি চালাতে রাতে ১৬টি বাইকে পুলিশ টহল দিচ্ছে।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র 

হাবড়া শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৯ ০০:০৬
Share:

তল্লাশি: রাতে পথে পুলিশ। ছবি: সুজিত দুয়ারি

হাবড়া শহরের নিরাপত্তা জোরদার করতে কড়া পদক্ষেপ করল হাবড়া থানার পুলিশ। রাতে গোটা থানা এলাকা জুড়ে ধরপাকড় ও তল্লাশি শুরু হয়েছে। সন্দেহজনক কাউকে দেখলেই জেরা করা হচ্ছে। পুরনো দুষ্কৃতীদের খোঁজ-খবর নিয়ে তাদের উপরে আলাদা করে নজর রাখা হচ্ছে। থানায় ডেকে জেরা করা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়া থানার আয়তন ১০৪ বর্গ কিলোমিটার। ওই বিস্তৃত এলাকায় নজরদারি চালাতে রাতে ১৬টি বাইকে পুলিশ টহল দিচ্ছে।

দিন কয়েক আগে হাবড়া ১ বিডিও শুভ্র নন্দীর আবাসনে ঢুকে দুষ্কৃতীরা বিডিও ও তাঁর স্ত্রীকে বেঁধে লুঠপাট চালিয়ে ছিল। তারপর থেকে শহরবাসী শঙ্কিত। ওই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ অবশ্য ইতিমধ্যেই চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

পুলিশের তরফে আঁটোসাটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি, মানুষকে সচেতন করতে অটোয় মাইক বেঁধে প্রচার চলছে। শহরবাসীর মধ্যে লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। থানার ফোন নম্বর মানুষকে দিয়ে বলা হচ্ছে, বাড়ি ফাঁকা রেখে কোথাও গেলে পুলিশকে জানিয়ে যেতে। কোথাও কোনও সন্দেহজনক লোকজনের আনাগোনা দেখলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দিতে আবেদন জানানো হচ্ছে।

সম্প্রতি যে সব ফাঁকা বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে, সেই সব পরিবারের তরফে পুলিশকে কেউ আগাম জানিয়ে যাননি। পুলিশের বক্তব্য, ফাঁকা বাড়িতে চুরি বন্ধ করতে মানুষকেও সচেতন হতে হবে। আগেভাগে ফাঁকা বাড়ির খবর পাওয়া গেলে সেই বাড়ির উপরে পুলিশ নজরদারি রাখতে পারবে।

পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গণেশ পুজো, বিশ্বকর্মা পুজো, দুর্গাপুজো, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য বেশির ভাগ পুলিশ নিরাপত্তার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সুযোগ নিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।

হাবড়া শহরে নিরাপত্তার জন্য রয়েছে শতাধিক সিসি ক্যামেরা। তার মধ্যে কয়েকটি খারাপ হয়ে পড়ে ছিল। সেগুলি দ্রুত মেরামত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গভীর রাতে বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার শেষ ট্রেন ও ভোর রাতে প্রথম ট্রেনের যাত্রীদের উপরেও নজর রাখছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে হাবড়া শহরে গিয়ে দেখা গেল, আইসির নেতৃত্বে পুলিশ কর্মীরা গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন। সন্দেহজনক কাউকে গাড়ির মধ্যে দেখলে নামিয়ে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। কথাবার্তায় সন্তুষ্ট হলে তবেই তাঁকে ছাড়া হচ্ছে।

নিরাপত্তা বাড়াতে পুলিশের ওই ভূমিকায় আস্বস্ত শহরবাসী। তবে তাঁদের প্রশ্ন, পুলিশের এই তৎপরতা দু’দিন পরে বন্ধ হয়ে যাবে না তো!

হাবড়ার আইসি গৌতম মিত্র বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই এলাকার স্কুলে স্কুলে নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যেও নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনা বাড়াতে কর্মশালা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন