অপেক্ষা: লট ৮ ঘাটে পুণ্যার্থীরা ভেসেলের জন্য দাঁড়িয়ে। নিজস্ব চিত্র
মেলার আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে মেলা।
আর ভিড় সামলাতে ব্যতিব্যস্ত প্রশাসন।
গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতিতে এখনও কয়েকটি দিন বাকি। সব জায়গায় পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়নি। শৌচাগার তৈরির কাজও চলছে। সব থেকে বড় হল ড্রেজিংয়ের কাজ। তাতেও এখনও কিছু দিন লাগবে। এই পরিস্থিতিতে মেলার মাত্র কয়েক দিন আগেও সাড়ে ৬-৭ ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে মুড়িগঙ্গায় ভেসেল পেরোতে।
ডিসেম্বরের শেষ থেকেই গঙ্গাসাগরে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে ভিড়। অন্যান্য বারের তুলনায় যা প্রায় দ্বিগুণ বলে দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ১০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হওয়ার কথা গঙ্গাসাগর মেলার।
কাকদ্বীপ লট ৮ ঘাট কচুবেড়িয়া ভেসেল ইউনিয়নের নেতা শক্তিপ্রসাদ মাইতি বলেন, ‘‘প্রতি বছরই এ রকম সমস্যায় আমাদের পড়তে হয়। বৃহস্পতিবার রাতেও প্রায় ৮ হাজার মানুষ নদী পার হওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। বাড়তি ভেসেল নেই, ভাটার জন্য জল নেই। আমরা প্রায় সারা রাত পরিষেবা দিচ্ছি।’’ কেন্দ্রীয় জলপথ পরিবহণ কর্তৃপক্ষের কর্মীরাও নিশ্চয়তা দিতে পারছে না, কবে নাগাদ ড্রেজিং শেষ হবে। তবে কাজ চলছে জোর কদমে।
লট ৮ ঘাটে গিয়ে দেখা গেল, প্রচণ্ড ভিড়। ৪ নম্বর জেটির সামনে টিকিট কাউন্টার থেকে লাইন পেরিয়ে যাচ্ছে প্রায় আধ কিলোমিটার দূরে, ২ বা ৩ নম্বর জেটির কাছাকাছি। দীর্ঘ অপেক্ষার পরে প্রতি মহূর্তেই কেউ না কেউ লাইন ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করছেন। পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও সমস্যা হচ্ছে। ভাটার সময়ে ভেসেল না চলায় ভিড় ক্রমে বেড়েই চলেছে। বাড়তি ভেসেলও আসেনি।
গঙ্গাসাগরের প্রধান হরিপদ মণ্ডল বলেন, ‘‘বাড়তি জল এবং শৌচাগার অবিলম্বে দেওয়া হোক বলে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কয়েকটি এসেছে, কয়েকটি আসেনি। তবে চেষ্টা করছি, ব্যবস্থা করে ফেলার।’’
জেলা প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, মেলার পুরো প্রস্তুতি শুরু করার কথা ১০ জানুয়ারি থেকে। তাই তারও আগে এই ভিড় এলে তা সামলানোর জন্য বাড়তি লোকবল এখনই পাওয়া যাবে না। তবে বাড়তি ভিড় সামলানোর জন্য কিছু বাড়তি ভেসেল চাওয়া হয়েছে পরিহবহণ দফতরের কাছে। জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘‘এটা খুবই ভাল ব্যাপার, পুণ্যার্থীরা আগেই আসতে শুরু করেছেন। আমাদের এটার একটা হিসেব রয়েছে। ১০ জানুয়ারির আগেই কয়েকটি ভেসেল নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। আশা করছি, সময়ের একটু আগে থেকেই চালু করতে পারব পরিষেবা।’’