বৃদ্ধের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার স্ত্রী, ছেলে-বৌমা

বৃদ্ধকে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও বৌমাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার সকালে মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুরের মণ্ডলপাড়ার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম সুশীল মণ্ডল (৬০)। তাঁর স্ত্রী সীমা ছেলে কৈলাস ও বৌমা সনিয়াকে আজ, শনিবার ডায়মন্ড হারবার আদালতে তোলা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৬ ০২:৪৯
Share:

বৃদ্ধকে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও বৌমাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার সকালে মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুরের মণ্ডলপাড়ার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম সুশীল মণ্ডল (৬০)। তাঁর স্ত্রী সীমা ছেলে কৈলাস ও বৌমা সনিয়াকে আজ, শনিবার ডায়মন্ড হারবার আদালতে তোলা হবে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকাতেই বাড়ি সুশীলবাবুর। সেখানে তাঁর একটি চায়ের দোকান আছে। বছর খানেক আগে ওই দোকানের দখল নিয়ে স্ত্রী ও একমাত্র ছেলের সঙ্গে ঝামেলা বাধে। অভিযোগ, জোর করে দোকানের দখল নেয় মা-ছেলে। পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল না হওয়ায় বৃদ্ধ থাকতেন বাজারে এক প্রতিবেশীর দোকানে। অথচ নিজের বাড়ির বারান্দায় গলায় ফাঁস লাগানো তাঁর দেহ এ দিন সকালে দেখতে পান প্রতিবেশীরা। সন্দেহ দানা বাধে সেখানেই।

খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করতে গেলে প্রতিবেশীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে। স্থানীয় মানুষজন সুশীলবাবুর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। এলাকাবাসীর দাবি, স্ত্রী-ছেলে-বৌমাই পিটিয়ে খুন করেছে সুশীলবাবুকে। তারপরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় দেহ। পুলিশ ওই তিনজনকে গ্রেফতার করলে শান্ত হয় জনতা। প্রতিবেশীরা জানান, সুশীলবাবুর স্ত্রীর স্বভাব-চরিত্র নিয়ে নানা কানাঘুষো আছে। সুশীলবাবুও স্ত্রীর উপরে অসন্তুষ্ট ছিলেন। এ সব নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ বহু দিনের। ছেলে দোকান ও সম্পত্তির জন্য মায়ের পক্ষ নেয়। প্রতিবেশী রমেশ মণ্ডল, সুকুমার মণ্ডলদের দাবি, এর আগেও মা-ছেলে মিলে সুশীলবাবুকে পিটিয়ে, কীটনাশক খাইয়ে মারার চেষ্টা করেছিল।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, সুশীলবাবুর ভাই সুনীল মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটি খুনের মামলা রুজু করে দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে তা স্পষ্ট হবে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, জমি-সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই ঘটনা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement