এই সেই তার।নিজস্ব চিত্র।
খুঁটি পুঁতে তাতে অ্যালুমিনিয়ামের তার দিয়ে বাড়ির সীমানা ঠিক করা ছিল। সেই তারে ফুটেছিল নীলকন্ঠ ফুল। নমিতা মধু নামে এক প্রৌঢ়া ফুল তুলতে গিয়েছিলেন। এ দিকে, রাস্তার বিদ্যুতের খুঁটি টেনে বেঁধে রাখা হয়েছিল ওই অ্যালুমিনিয়ামের তারের সঙ্গে। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। ফুল তুলতে গেলে তড়িৎতাহত হন নমিতাদেবী। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন নমিতাদেবীর বড় ছেলে গিরীশ মধু (৩৭)। তিনি মাকে সরিয়ে দিতে গেলে তাঁরও একই অবস্থা হয়। তাঁর চিৎকার শুনে আসেন ছোট ছেলে বিপুল। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনিও। এরপরে এলাকার বাসিন্দারা এসে গামছা ফেলে টেনে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই মারা যান গিরীশ। শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ড আদর্শপল্লিতে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এলাকারবাসীর দাবির, ওই এলাকায় বিদ্যুতের তার বিপদজ্জনক ভাবে ঝুলে থাকে। এমনকী, নারকেল গাছের সঙ্গেও তার প্যাঁচানো থাকে। স্থানীয় বাসিন্দা, নিমাই রায় বলেন, ‘‘কয়েক মাস আগেও এলাকার এক যুবক ঝুলে থাকা তারে তড়িৎতাহত হয়েছিলেন।’’ বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি সূত্রে জানানো হয়েছে, বিপজ্জনক তার থাকলে তা মেরামত করে দেওয়া হবে।