(বাঁ দিকে) লালুপ্রসাদ যাদব এবং রাবড়ী দেবী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
অবশেষে পটনার ১০ সার্কুলার রোডের বাংলো ছেড়ে অন্যত্র উঠে যাচ্ছে লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারের সদস্যেরা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাংলোর বাইরে কয়েকটি ট্রাককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। বাংলো থেকে মালপত্র এনে তোলা হয় ওই ট্রাকগুলিতে। তবে মালপত্রগুলি কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, লালুপ্রসাদ-রাবড়ী দেবী কোন ঠিকানায় উঠে যাচ্ছেন, তা স্পষ্ট নয়।
নভেম্বরে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি-র শোচনীয় পরাজয়ের পরেই লালুপ্রসাদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের পুরনো বাংলো ছেড়ে ৩৯ হার্ডিং রোডের অপেক্ষাকৃত ছোট বাংলোয় উঠে যেতে বলা হয়েছিল। গত ২০ বছর ধরে পটনার ১০ সার্কুলার রোডের সরকারি বাংলোয় থাকেন লালু, তাঁর স্ত্রী রাবড়ী দেবী এবং পরিবারের অন্য সদস্যেরা। কিন্তু সরকারি নির্দেশের পরেও পুরনো বাংলো ছেড়ে নতুন ঠিকানায় উঠে যেতে প্রথম দিকে নারাজ ছিলেন রাবড়ী দেবী। লালুর স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই তিনি সার্কুলার রোডের বাংলো ছাড়তে চাইছেন না বলে জানিয়েছিল আরজেডি।
১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন রাবড়ী দেবী। ২০০৫ সালে আরজেডিকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসেন নীতীশ কুমার। ১৫ বছর পর ক্ষমতাচ্যুত হয় লালুর দল। সেই সময় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবীর জন্য ১০ সার্কুলার রোডের বাংলোটি বরাদ্দ করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ১ অ্যানে মার্গের সরকারি বাসভবনে থাকতেন রাবড়ী দেবী। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সরকারি ওই বাসভবনে থাকেন নীতীশ। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বেই রয়েছে ১০ সার্কুলার রোডের বাংলোটি। আরজেডি ক্ষমতার বৃত্তে থাক বা না-থাক, গত ২০ বছরে এর আগে কখনও ওই বাংলো থেকে লালুর পরিবারকে উঠে যেতে বলা হয়নি।