—প্রতীকী চিত্র।
বন্ধ্যত্বকরণ হয়নি। পেটের ‘টিউমার’ও অস্ত্রোপচার হয়নি। তবু কেন পেট কাটা হল তরুণীর? সেই প্রশ্নে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল স্বাস্থ্য দফতর।
বন্ধ্যত্বকরণের জন্য গত ফেব্রুয়ারি মাসে মধ্যমগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়েছিলেন এক মহিলা। অভিযোগ, তাঁর পেটে টিউমার আছে বলে জানিয়ে তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে রেফার করে দেন চিকিৎসক। জেলা হাসপাতালে পৌঁছে জানা যায়, টিউমার নেই। অথচ পেটে ছয় ইঞ্চি কাটা দাগ। ওই মহিলার স্বামী, মধ্যমগ্রামের গঙ্গানগরের বাসিন্দা আনন্দ কাহারের অভিযোগ, মধ্যমগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে এক চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রীর পেটে টিউমার আছে। বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে আগে সেই টিউমারটি বাদ দিতে হবে। তড়িঘড়ি স্ত্রীকে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে গেলে আলট্রাসোনোগ্রাফি করে সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, টিউমার নেই। আনন্দবাবুর অভিযোগ, এর পরে তিনি জানতে পারেন স্ত্রীর পেটে অনেকটা অংশ কাটা হয়েছে। কেন কাটা হল, সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের কাছে পাননি তিনি।
এর পরেই প্রথমে থানা এবং সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানান তিনি। সোমবার বলেন, ‘‘আমরা গরিব মানুষ। দুটো বাচ্চা রয়েছে। ও ভাবে পেট কাটার পর থেকে আমার স্ত্রী কোনও কাজকর্ম করতে পারছে না।’’
অভিযুক্ত চিকিৎসক প্রেমজিৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ দিন তিনি কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি। তবে উত্তর ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তও শুরু হয়েছে।’’
বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল জানান, বন্ধ্যত্বকরণের অস্ত্রোপচার দু’রকম ভাবে করা যায়। পেট কেটে কিংবা ছোট ফুটো করে ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমে। কিন্তু ওই মহিলার ক্ষেত্রে পেট কাটা হলেও বন্ধ্যত্বকরণ হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘বারাসত হাসপাতালে শুধু আলট্রাসোনোগ্রাফি হয়। তাতেই টিউমার নেই বলে জানা গিয়েছিল। এর বেশি আমরা কিছু জানি না।’’