যত্রতত্র: এখনও পড়ে আর্বজনা। নিজস্ব চিত্র
গোটা শহরটাই যেন ধাপার মাঠ!
কাঁচরাপাড়া জুড়ে জমে থাকা জঞ্জালের ঠেলায় এখন জীবন ওষ্ঠাগত এলাকা বাসিন্দাদের। চড়চড়ে রোদ আর এলোমেলো হাওয়ায় রাস্তার ধারের জঞ্জাল উড়ে বেড়াচ্ছে। দুর্গন্ধে তিষ্ঠানো দায়। পথ চলতে গেলে গায়ে-মুখে হাওয়ায় উড়ে এসে পড়ছে নোংরা প্লাস্টিক, কাগজ, মাছের আঁশ। নববর্ষের দিন থেকেই পুরসভার সাফাই কর্মীরা কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় এই হাল হয়েছে শহরের।
জঞ্জালের আতঙ্কে বহু দোকান এ দিন খোলেনি। দুর্গন্ধ আর হাওয়ায় উড়ে আসা জঞ্জালের ভয়ে হকাররাও অনেকে বসেননি তাঁদের পসরা সাজিয়ে। কাঁচরাপাড়া স্টেশন থেকে গাঁধী মোড় হয়ে বাগমোড় যাওয়ার পথে বহু জায়গার রাস্তার অধিকাংশ ফুটপাথ দখল হয়ে গিয়েছে জঞ্জালে। তবে এ দিন পুর ভবনে নিজেদের ফেলা জঞ্জাল নিজেরাই সাফ করেছেন সাফাই কর্মীরা। সোমবারই সাফাইকর্মীরা জানিয়েছিলেন তাঁদের বেতন বৃদ্ধি ও স্থায়ীকরণের ১১দফা দাবি মেনে নিলে কাঁচরাপাড়াকে আবার সাফ করে দেবেন তাঁরা। পুরপ্রধান সুদামা রায়ও বলেন, ‘‘সাফাইকর্মীদের সঙ্গে কথা হয়েছে, আলোচনা করছি আমরা।’’ পুরপ্রধান বলছেন, কেন এমন বিশৃঙ্খলা তা তাঁর জানা নেই। পুরপ্রধান এই কথা বললেও স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় অবশ্য এ ব্যাপারে কিছুই জানেন বলে জানিয়েছেন।
বিরোধীরা তোপ দাগছেন তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল বলে। কাঁচরাপাড়া স্টেশন রোড এলাকার বাসিন্দা সন্দীপ ঘোষ বলেন, ‘‘কেউ কিছু জানেন না আর গোটা শহর ধাপার মাঠে পরিণত হয়ে গেল? আমরা পুর কর দিয়ে এই শহরে রয়েছি। আবর্জনার মধ্যে অসুস্থ জীবন যাপনের জন্য নয়।’’