হোটেল-রেস্তরাঁয় নজরদারি বসিরহাটে

পুরপ্রধান তপন সরকার বলেন, ‘‘ভাগাড়ে ফেলা পশুর মাংস নিয়ে নানাজনের মনে নানা প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে। সে কথা ভেবে বসিরহাট শহরের হোটেল-দোকানে এমন কোন ঘটনা ঘটছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৮ ১২:১৬
Share:

নজরে-হাঁড়ি: বাদুড়িয়ায় পরীক্ষা হচ্ছে বিরিয়ানি। ছবি: নির্মল বসু

ক’দিন আগে ফর্মালিনে চোবানো মরা মুরগির মাংস নিয়ে শোরগোল পড়েছিল বাদুড়িয়া-সহ বসিরহাট মহকুমা নানা প্রান্তে। কলকাতার ভাগাড় থেকে তুলে আনা মরা পশুর মাংসের কারবার সামনে আসার পরে এ বার বসিরহাটের বিভিন্ন হোটেল-রেস্তরাঁয় অভিযান চালালেন পুর কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

শনিবার এই অভিযান প্রসঙ্গে পুরপ্রধান তপন সরকার বলেন, ‘‘ভাগাড়ে ফেলা পশুর মাংস নিয়ে নানাজনের মনে নানা প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে। সে কথা ভেবে বসিরহাট শহরের হোটেল-দোকানে এমন কোন ঘটনা ঘটছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।’’

তবে পুরসভার এই উদ্যোগকে ঘিরে অন্য সমালোচনা শোনা যাচ্ছে স্থানীয় মানুষজনের একাংশের কাছে। তাঁদের মতে, মহকুমার এক প্রান্তে মরা মুরগির কারবার যখন সামনে এল, তখন তো পুরসভার এমন তৎপরতা দেখা যায়নি। পুলিশ-প্রশাসনের নজরদারিও ইদানীং চোখে পড়ছে না।

Advertisement

গত কয়েক বছরে বসিরহাট শহরে বেশ কিছু বিরিয়ানির দোকান তৈরি হয়েছে। এক দিকে বাদুড়িয়ায় মরা মুরগি কাণ্ড। তার উপরে, কলকাতায় ভাগাড়ের মরা পশুর মাংস বিক্রি— এই দু’য়ে মিলে অনেকেই এখন হোটেল-রেস্তরাঁয় মাংস খেতে ইতস্তত করছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুর প্রধানের নির্দেশে শনিবার ছুটির দিনেও স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি দল বসিরহাট শহরে অভিযান চালায়। তপনবাবু বলেন, ‘‘তদন্তে নেমে দেখা যাচ্ছে, ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই বেশির ভাগ হোটেল-রেস্তরাঁ চলছে। অনেক জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এক সপ্তাহের মধ্যে সব ঠিক করে না নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

পুরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সুবীর দাস বলেন, ‘‘হাতে গোনা দু’একটি হোটেল-রেস্তরাঁ ছাড়া প্রায় কারওরই ট্রেড লাইসেন্স নেই। তাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বিষয়টি লিখিত ভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement