রায়দিঘির খুনে রাজ্যের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে তিন তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে খুন হন সিপিএমের এক সমর্থকও। রাজ্য সরকার সেই মামলায় সিপিএম নেতাদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যে-আবেদন করেছিল, সোমবার তা খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাই হাইকোর্ট ওই নেতাদের যে-জামিন দিয়েছিল, তা বহাল রইল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৪৫
Share:

দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে তিন তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে খুন হন সিপিএমের এক সমর্থকও। রাজ্য সরকার সেই মামলায় সিপিএম নেতাদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যে-আবেদন করেছিল, সোমবার তা খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাই হাইকোর্ট ওই নেতাদের যে-জামিন দিয়েছিল, তা বহাল রইল।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০১৪ সালের ১৪ জুন রায়দিঘি খাঁড়ি এলাকায় এক সিপিএম সমর্থক এবং চার জন তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় তৃণমূলের এফআইআরের ভিত্তিতে সিপিএম নেতা বিমল ভাণ্ডারী-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দু’মাস পরে বিমলবাবুর জামিন মঞ্জুর করে কলকাতা হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টে আরও চার সিপিএম নেতার জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়। জামিনের বিরোধিতা করে ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকার।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এ দিন রাজ্য সরকারের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, সিপিএমের কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শাসক দলের চাপে পুলিশ সিপিএম নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল। আসলে তৃণমূলের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের জেরেই ওই খুনের ঘটনা ঘটেছিল।’’ অভিযুক্তের তালিকায় প্রথমে কান্তিবাবুর নামও রাখা হয়েছিল। পরে অবশ্য পুলিশ ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে যে-চার্জশিট পেশ করে, তাতে কান্তিবাবুর নাম বাদ দেওয়া হয়।

Advertisement

সর্বোচ্চ আদালত সরকারের আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পরে সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী মন্তব্য করেন, কুলতলিতে পর্যটক কিংবা চাঁপদানিতে পুলিশ আক্রান্ত হলে অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয় না। অথচ সিপিএম নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তাঁদের জামিন খারিজ করতে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাচ্ছে। এতেই বোঝা যায়, সরকার কতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ। সুজনবাবুর কথায়, ‘‘রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে জোর থাপ্পড় খেল। দেখা যাক, তাদের শিক্ষা হয় কি না!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement