বাঁ দিকে, বসিরহাটের এসএন মজুমদার রোডে ভেঙেছে রাস্তা এবং ডান দিকে, জলমগ্ন সাঁইপালা। ছবি: নির্মল বসু।
টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বসিরহাট, স্বরূপনগরের বিস্তীর্ণ এলাকা। টানা বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটের অবস্থাও বেশ খারাপ। পিচ-পাথর উঠে এবড়ো-খেবড়ো রাস্তায় চলাফেরা করতে চরম সমস্যায় পড়ছেন মানুষ। সুন্দরবন এলাকার নদীবাঁধের অবস্থাও বেশ আশঙ্কাজনক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিনাখাঁর বিদ্যাধরী নদীর স্লুইস গেটের কপাট ভেঙে স্থানীয় বামনপুকুর, ছ’য়ানি এবং কুশংড়া গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বসিরহাট শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে এখন হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে।
হিঙ্গলগঞ্জের চাঁড়ালখালি গ্রামে কালিন্দী নদীর বাঁধেও স্লুইস গেট ভেঙেছে। সুন্দরবন লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ এবং সন্দেশখালির অধিকাংশ এক ফসলি জমির ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভেড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছে মাছ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে যাওয়ার কারণেই এই ঘটনা।
বসিরহাট মহকুমা প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টানা বৃষ্টিতে এই মহকুমার ১০টি ব্লকের বেশিরভাগ চাষের জমি এখন জলের তলায়। অঞ্জন মণ্ডল, স্বপন মণ্ডলদের আশঙ্কা, ধান নষ্ট হয়ে গেলে সুন্দরবন এলাকায় চালের সঙ্কট দেখা যাবে। সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে সুন্দরবন লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি ১, ২ এবং স্বরূপনগর ব্লকে। ধান ছাড়াও পটল, ওল, ঝিঙে, উচ্ছে, লঙ্কার মতো সব্জি খেতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আশঙ্কা রয়েছে পাট পচে যাওয়ার।
চাষিদের অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণেই জল জমে গিয়েছে। স্বরূপনগরের তেপুল খাল এবং কঙ্কনা বাওড়ের সংযোগস্থলে কংক্রিটের স্ল্যাব ভেঙে জল ঢুকে পড়েছে। বৃহস্পতিবার ওই এলাকা পরিদর্শনে যান স্বরূপনগরের বিডিও অর্ণব রায় এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঝুমা সাহা। অর্ণববাবু জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়েছে। দ্রুত মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।