অন্যের লেখা নিজের নামে,অভিযুক্ত শিক্ষক

অভিযোগ, তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বারুইপুর দক্ষিণ চক্রের সভাপতি সুব্রত হালদার ওই চক্রেরই অন্য স্কুলের শিক্ষিকা মৈত্রেয়ী দে মুখোপাধ্যায়ের রচনা সম্প্রতি প্রকাশিত এক স্মরণিকাতে নিজের নামে ছেপেছেন।

Advertisement

শিবনাথ মাইতি

বারুইপুর শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:১৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

এক শিক্ষিকার লেখা বেমালুম নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, তার কারণ জানতে চাওয়া হলে জোটে কটূক্তি, হুমকিও।

Advertisement

অভিযোগ, তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বারুইপুর দক্ষিণ চক্রের সভাপতি সুব্রত হালদার ওই চক্রেরই অন্য স্কুলের শিক্ষিকা মৈত্রেয়ী দে মুখোপাধ্যায়ের রচনা সম্প্রতি প্রকাশিত এক স্মরণিকাতে নিজের নামে ছেপেছেন।

বারুইপুর দক্ষিণ চক্রের দুধনই অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মৈত্রেয়ী। সম্প্রতি তিনি ও তাঁর স্কুলের তিন পড়ুয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ক্রীড়া স্টেডিয়ামে ‘সুন্দরবনের বিপন্ন বন্যপ্রাণ’ নামে একটি স্লাইড শো করেন। ওই অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিল যে কমিটি, সুব্রত হালদার ছিলেন তার সম্পাদক। স্লাইড শো-এর জন্য তৈরি রচনাটি পরে অনুষ্ঠানের স্মরণিকায় তিনি নিজের নামে ছেপে দেন।

Advertisement

মৈত্রেয়ীর অভিযোগ, রিহার্সালের সময়ে সুব্রত লেখাটি তাঁর কাছ থেকে চেয়েছিলেন। পরে তাঁর অনুমতি না নিয়েই সেটি ফটোকপি করিয়ে নেন। এর জন্য তাঁর কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেননি সুব্রত। পরে বিষয়টি জানতে পেরে তিনি সুব্রতর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি সদুত্তর দেওয়ার বদলে উল্টে কটূক্তি করেন, এমনকী হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অর্পিতা রায়চৌধুরীকে মৌখিক ভাবে এবং পরে ই-মেল করে জানিয়েছেন মৈত্রেয়ী।

রচনাটি যে তাঁর নিজের লেখা নয়, সে কথা স্বীকার করেছেন সুব্রত। তাঁর দাবি, ‘‘ছোট একটা ভুল হয়ে গিয়েছে।’’ তবে হুমকির কথা তিনি স্বীকার করেননি। ওই স্মরণিকা ছাপার দায়িত্ব ছিল প্রশান্ত পণ্ডিত নামে আর এক শিক্ষকের উপরে। সুব্রতর দাবি, প্রশান্তই তাঁকে সেটি নিজের নামে ছাপতে বলেছিলেন। তিনি তাতে কেন রাজি হলেন, সে প্রশ্নের সদুত্তর অবশ্য তিনি দিতে পারেননি। প্রশান্ত আবার পাল্টা দাবি করেন, ‘‘সুব্রতই আমাকে ওই লেখাটি দিয়ে বলেছিলেন তাঁর নামে ছাপতে। সেটি যে মৈত্রেয়ীর লেখা, তা আমি জানতাম না।’’

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ঘনশ্রী বাগ বলেন, ‘‘কোনও শিক্ষক যদি এমনটা করে থাকেন, তবে তা অনৈতিক।’’ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষা সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি প্রকাশচন্দ্র মণ্ডল জানান, তিনি এ বিষয়ে খোঁজখবর নেবেন। বারবার চেষ্টা করেও অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এসএমএস বার্তার জবাবও দেননি তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন