Child Marriage

নাবালিকার বিয়ে রুখে দিলেন শিক্ষক

মায়ের রোজগারে সংসার চলে। মেয়েটি থাকে মামার বাড়িতে। ছাত্রীর মামাকে মঙ্গলবার স্কুলে ডেকে পাঠান প্রধান শিক্ষক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাসনাবাদ শেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

মাত্র চোদ্দো বছর বয়স। নবম শ্রেণির ছাত্রীটি ক’দিন স্কুলে আসছিল না। শিক্ষকেরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, বাড়ি থেকে বিয়ের ঠিক হয়েছে তার। প্রধান শিক্ষক ও এক শিক্ষিকা মিলে ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের বোঝান। যাতে ওই নাবালিকা ছাত্রীকে বিয়ে না দিয়ে স্কুলে পাঠানো হয়, সে ব্যাপারে অভিভাবকদের রাজি করান তাঁরা। শুক্রবার হাসনাবাদের গ্রামের ঘটনা। জানুয়ারি মাস থেকে স্কুলে আসছিল না মেয়েটি। শনিবার প্রধান শিক্ষক অন্য ছাত্রীদের থেকে জানতে পারেন, মেয়েটি আর স্কুলে আসবে না। খুব শিগগিরই বিয়ে হবে। মেয়ের বাবা মারা গিয়েছেন কিছু বছর আগে। মায়ের রোজগারে সংসার চলে। মেয়েটি থাকে মামার বাড়িতে। ছাত্রীর মামাকে মঙ্গলবার স্কুলে ডেকে পাঠান প্রধান শিক্ষক। বোঝানো হয়, আঠারো বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেওয়া আইনত অপরাধ। নানা সমস্যা হয় তাতে। বুধবার মেয়েটিকে ফের স্কুলে পাঠাতে বলা হয়। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত স্কুলে আসেনি সে। প্রধান শিক্ষক ও এক শিক্ষিকা মামার বাড়িতে পৌঁছে যান। ছাত্রীর দাদু-দিদা শিক্ষকদের জানান, স্কুলে ভর্তি করানোর টাকা ছিল না কাছে। নতুন ক্লাসের বইই কিনে দিতে পারেননি। মেয়ের তাতে অভিমান হয়। নিজেই আর পড়তে চাইছিল না। ফলে বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধার কথা বোঝানো হয় পরিবারটিকে। সব শুনে পরিবারটি জানিয়েছে, মেয়ের বিয়ে এখন তারা দেবে না। শনিবার থেকে স্কুলেও যাবে সে। প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘আমি আগেও দেখেছি, এ ভাবে যে সব নাবালিকা স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়, তাদের খুব দ্রুত বিয়ে দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও তেমন ঘটতে চলেছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন