ধৃত: লিটনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে থানায়। নিজস্ব চিত্র
এক যুবককে পিটিয়ে খুন করে ও পরে তাঁর বাবাকে গুলি করে খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পেট্রাপোল থানার পুলিশ। ঘটনার বছর দু’য়েক পরে লিটন শেখ নামে ওই যুবক ধরা পড়ল।
শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ খলিতপুর থেকে লিটনকে ধরে পুলিশ। তার কাছ থেকে পুলিশ প্রায় ৬ লিটার তরল মাদকও আটক করেছে বলে জানিয়েছে। পুলিশের দাবি, সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে মাদক পাচারের পরিকল্পনা করেছিল সে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার, বেআইনি ভাবে দু’দেশের মধ্যে মানুষ পারাপারের অভিযোগও আছে পেট্রাপোলের বাসিন্দা বছর আটত্রিশের লিটনের বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে পেট্রাপোল গ্রামের বাসিন্দা জসিম মণ্ডল খুন হন। অভিযোগ, পুরনো শক্রতার জেরে দুষ্কৃতীরা পিটিয়ে খুন করেছিল জসিমকে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ব্যাডমিন্টন খেলতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরোন জসিম। বাড়ির কাছেই তাঁকে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত লিটন। পুলিশ জানিয়েছে, জসিমের নামেও অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। তবে খুন হওয়ার কিছু দিন আগে সে পথ থেকে সরে এসেছিলেন জসিম। পুলিশ জানতে পারে, কেন অপরাধ জগত থেকে সরে যাচ্ছেন, তা নিয়ে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে বিবাদ চলছিল তাঁর।
জসিম খুনের পর থেকে পুলিশ লিটনের খোঁজ শুরু করে। তার কয়েক জন সাগরেদ গ্রেফতার হলেও লিটনকে ধরা যায়নি। এ দিকে, ছেলের খুনিরা যাতে ধরা পড়ে, সে জন্য জসিমের বাবা বাবর আলি উঠেপড়ে লাগেন। ওই বছরই মে মাসে দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে বাবরকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে, গুলি করে খুনের চেষ্টা করে। বাবর অবশ্য প্রাণে বেঁচে যান। ওই ঘটনাতেও নাম জড়ায় লিটনের।
পুলিশ জানিয়েছে, বাবরের উপরে হামলার পরে লিটন বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। তাকে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের তরফে চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিন্তু সাফল্য মেলেনি। বাংলাদেশে বসেই সে অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রেখেছিল। সম্প্রতি গোপনে দেশে ফেরে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।