Coronavirus Lockdown

নানা সমস্যা ভোগাচ্ছে বিদ্যুৎ দফতরকে

পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিচু তলার কর্মীও ইঞ্জিনিয়রদের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবে বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রতি পদে হোঁচট খাচ্ছেন কর্তারা।

Advertisement

শুভাশিস ঘটক

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২০ ০৪:৩৩
Share:

প্রতীকী ছবি

লোক ও সমন্বয়ের অভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থার হাল ফেরাতে কপালে ভাঁজ পড়েছে বিদ্যুৎ দফতরের কর্তাদের।

Advertisement

বুধবারে আমপানের দাপটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রায় ১৫টি সাব স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সারা জেলায় প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৪৬ হাজার বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে গিয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। বিপর্যয় মোকাবিলায় মাঠে নেমেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির কর্তারা।

কিন্তু পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিচু তলার কর্মীও ইঞ্জিনিয়রদের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবে বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রতি পদে হোঁচট খাচ্ছেন কর্তারা। সুন্দরবন এলাকা-সহ বারুইপুর-সোনারপুর এলাকাও ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎহীন। গত এক বছরে দফতরে বহু দক্ষ ইঞ্জিনিয়র বদলি হয়ে গিয়েছে। নতুন ইঞ্জিনিয়ারেরা এলাকার ভূগোলের সঙ্গে এখনও পরিচিত নন। কার্যত ঠিকাদার সংস্থাগুলির উপরই নির্ভর করে কাজ চালানো হচ্ছিল। দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘এক দিকে লকডাউন, অন্য দিকে বড় বড় ঠিকাদার সংস্থাগুলির কাছেও দক্ষ শ্রমিক নেই। দীর্ঘদিন ছোট-ছোট ঠিকাদার সংস্থাগুলি কাজ না পাওয়াতে তারাও লোকজন রাখেনি। এই অবস্থায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিদ্যুতের খুঁটি বসানো, তার টানার পর্যাপ্ত লোক পাওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ইঞ্জিনিয়রদের নিয়ে আসা হয়েছে। তাতেও কাজে কাঙ্খিত গতি আসেনি।’’ পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে মাস দু’য়েক পেরিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেক অফিসার। সমন্বয়ের অভাবের বিষয়টি কার্যত স্বীকার করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘‘আমিও নানা ভাবে ওই ধরনের খবর পাচ্ছি। তবে বিপর্যয় মোকাবিলায় ইঞ্জিনিয়র ও কর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করছেন। খুব দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।’’

Advertisement

বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ঠিকাদার সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক নীহার রক্ষিত বলেন, ‘‘বিভিন্ন জেলায় আমাদের সংগঠনের সদস্যদের কাছে লোক চেয়েছি। কয়েক দিনের মধ্যে লোক আসা শুরু হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন